গাড়ি সাইড না দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে এমপির থাপ্পড়!
বরগুনা -২ (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের বিরুদ্ধে নজরুলের ইসলাম নামে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে রিমানের গাড়ির পাশে না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেল ৪ টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বিএফডিসি ফিশ হোলসেলারস অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়। পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রধান অতিথি ছিলেন সাংসদ শওকত হাছানুর রহমান রিমন, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের স্বাধীন সুবর্ণ জয়ন্তী পাথরঘাটা প্রিমিয়াম লিগ ফুটবল ম্যাচে প্রধান অতিথি ছিলেন। পরে বিকেলে, এমপি যখন মোটরসাইকেলের একটি কনভয় নিয়ে খেলার মাঠে আসেন, তখন তিনি এমপির লোকদের খেলোয়াড়দের বহনকারী মাইক্রো বাসের পাশে যেতে বলেন।
নজরুল বলেন, ‘পাথরঘাটা স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট চলছিল। বিকেল ৪ টার দিকে বরগুনা -২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী মোটরসাইকেলে খেলা দেখতে যাচ্ছিলেন। তারা মাঠের কাছে আসার সময় খেলোয়াড়দের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস এমপির মোটরবাইকের সামনে পড়ে যায়। আমিও মাইক্রোবাসে ছিলাম। ‘এ সময় এমপি বহনকারী মোটরসাইকেল থেকে মাইক্রোবাস সরানোর জন্য হর্ন বাজানো হয়। কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক রাস্তা সরু হওয়ায় জায়গা খুঁজে পাননি। এতে সাংসদ বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হন। পরে খেলোয়াড়দের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক মোটরসাইকেল বহরে যাওয়ার পথ দেন।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ এমপি রিমন মঞ্চে বসে আমাকে ডাকলেন। আমি এমপির সামনে আসার সাথে সাথে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মধু আমার পা ধরে আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। আমি এগিয়ে যেতেই এমপি রিমন আমাকে দর্শক, খেলোয়াড় এবং অতিথিদের সামনে চড় মারতে শুরু করে। ‘