জুমার খুদবা দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২১
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের শেখরা গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২১ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর এই সংঘর্ষ হয়। বাবুল ফকির (৫৫) গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো আসাদুজ্জামান এবং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কালাম মল্লিক এবং জামাল শেখ সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় জানান, দুই সদস্যের প্রার্থী আনিস এবং সাবেক সদস্য আব্দুল লতিফের সমর্থকদের মধ্যে গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নির্বাচনের পর যদি আনিসুর রহমান জয়ী হন, আনিসের সমর্থক ফারুক মল্লিক এবং সাবেক সদস্য আবদুল লতিফের সমর্থক বাবুল ফকির জুমার নামাজের সময় মসজিদে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উপস্থিত সদস্য আনিসুর রহমানের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে এবং উভয় পক্ষের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন রুবেল মল্লিক, সোহেল শেখ, শওকত শেখ, রাসেল শেখ, রবিউল শেখ, সাইফুল শেখ, মাহতাব মল্লিক, সজিব মোল্লা, কামরুল ফকির, মল্লিক ইমামুল কবির, সোহেল মল্লিক, জাহাঙ্গীর মল্লিক এবং বাবুল ফালক। মল্লিক, আলম মল্লিক, মহিউদ্দিন শেখ।
পরাজিত সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আনিচুর রহমানের লোকজন আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায় যারা মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে। তিনি আরও জানান, বাবুল ফকিরসহ তার ১৩ জন সমর্থক বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অন্যদিকে, নির্বাচিত সদস্য আনিচুর রহমান হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, বাবুল ফকির, কামরুল ইশারাত শেখসহ বেশ কয়েকজন আমার লোকদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদে মারাত্মক হামলা চালায়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুর ইসলাম জানান, জুমার নামাজ শুরু হওয়ার আগেই শেখরা জামে মসজিদের সামনে উভয় পক্ষের লোকজন তর্ক করছিল। পরে নামাজের পর উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।