এবার ভাইরাল হওয়া সেই ইমাম পেলেন ভাসমান মসজিদ!
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষের অসংখ্য ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। শুধু তাই নয়, পানি বাড়ার ফলে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। শুধু হাওলাদারের বাড়ি নয় জামে মসজিদও উধাও হয়ে গেছে। নদীতে জোয়ার আসার সাথে সাথে ইমাম হাফেজ মইনুর রহমানকে মসজিদে সাঁতার কাটতে যেতে হয়। ইমাম মসজিদে নামাজ আদায় করতেন এবং নামাজের জন্য আযান দিতেন।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মইনুর রহমান কয়েক সপ্তাহ আগে ভাইরাল হয়েছিলেন যখন তার একটি ভিডিও দেশ ও বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। । এই সমস্যাটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের নজরে আসে। তারা মসজিদের ইমামকে নৌকা ও নগদ উপহার দিয়ে সাহায্য করেছিল।
এরপর দেশের প্রথম ভাসমান জামে মসজিদটি নিমজ্জিত মসজিদের পাশে চালু করা হয়। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) জোহরের নামাজের সময় ভাসমান মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। ভাসমান মসজিদটির উদ্বোধন করেন প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাসমান মসজিদটি ইমাম হাফেজ মinনুর ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে।
আজান দেওয়ার জন্য মসজিদটিতে একটি মাইক সাউন্ড সিস্টেমও রয়েছে। মসজিদে ৫৫ থেকে ৬০ জন মুসল্লি ৬ টি সারিতে একটি জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারেন। ভাসমান মসজিদ নৌকা ৫০ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট চওড়া। মসজিদে রয়েছে অজু করার জন্য পানির ট্যাংক, ট্যাব ব্যবস্থা। রয়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। ভাসমান মসজিদকে স্থিতিশীল রাখার জন্য নৌকার দুই পাশে ২৫০লিটারের ৬ টি ড্রাম বেঁধে রাখা হয়েছে।
মসজিদের ইমাম মইনুর রহমান বলেন, মসজিদটি এখন নামাজের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। এর দেয়াল ও মেঝে পুরোপুরি ছিঁড়ে গেছে এবং খাল চারদিকে উঠে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। তাই এই ভাসমান মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মসজিদটিকে আরও সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। উপকূলীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন দীর্ঘ দুই বছর ধরে খোলপেটুয়া নদীতে প্লাবিত হয়েছে।