অসুস্থ বাবাকে টানা সাতদিন সাইকেল চালিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন মেয়ে !!

লকডাউনের জে’রে কত মানুষের দুঃ’খ-দু’র্দশার চিত্র প্রকাশ্যে আসছে দেশজু’ড়ে। পরিযায়ী শ্রমিকরা হাঁটছেন হাজার-হাজার কিলোমিটার। পথে মৃ’ত্যু হচ্ছে অগুণতি। দুঃ’ঘটনায়-খিদের জ্বা’লায়-ক্লা’ন্তিতে। সেইসঙ্গেই কিছু খবর আসছে, যা একটা মানুষের বিষয়ে সম্মান-সম্ভ্রম বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। ১৫ বছরের মেয়ে জয়তী কুমারী যেমন। অসুস্থ বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে যে পেরিয়ে গেল ১২০০ কিলোমিটার পথ!

অসম্ভব? আরও দশ জনের কাছে মনে হতেই পারে। কিন্তু অসুস্থ বাবার কথা ভেবে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে জয়ীতা। তাঁর ল’ড়াই সংগ্রামের কাহিনী শুনে অনেকেই বলছেন, এ মেয়ে তো সাক্ষাৎ দশভূজা।জয়তীদের বাড়ি বিহারে। গুরুগ্রামে রিকশা চালাতেন তাঁর বাবা। কিন্তু গত মার্চ মাসে জয়তীর বাবা মোহন পেশওয়ান এক দু’র্ঘটনায় মারাত্ম’কভাবে জ’খম হন। সুস্থ হয়ে কাজে যে ফিরবেন, তারও জো নেই। শুরু হয়ে যায় লকডাউন। আহ’ত বাবাকে আনতে গুরুগ্রাম পৌঁছয় জয়ীতা একা। কিন্তু আ’টকে পড়ে সে। সেইসঙ্গেই শুরু হয় ল’ড়াই। আয় নেই কারও। সামান্য টাকা নেই, খাবার জুটছে না ঠিকমতো। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন জয়তীর বাবা, ভাড়া না পেয়ে তিনিও হুম’কি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এরপরই সেই সিদ্ধান্ত নেয় জয়ীতা। বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় সে।

ধা’র করে সাইকেল কেনে একটি। সেই সাইকেলে করেই পথ চলা শুরু। টানা সাতদিন সাইকেল চালিয়েছে সে। পথে সামান্য বিশ্রাম, আধপেটা খাবার। অবশেষে গ্রামের বাড়ি। চূড়ান্ত দারিদ্রের মুখ দেখা এক কিশোরী মেয়ে যেন এক প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যু’দ্ধে নেমেছিল। সেই যু’দ্ধে জয়ী সে। এবার নতুন ল’ড়াই। পেট চালানোর ল’ড়াই। সেই ল’ড়াইতেও জয়ী হবে জয়ীতা, ওর জন্যে রইল শুভকামনা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *