আজ পবিত্র শবে কদর !!
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে আজ বুধবার (২০ মে) দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে শবেকদরের রাত হাজার রাতের চেয়ে পুণ্যময়। মহান আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, ‘হাজার রাতের চেয়েও উত্তম’ পবিত্র শবেকদর সমগ্র মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকতময় ও পুণ্যময় রজনী। পবিত্র শবেকদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগি করবেন। পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বুধবার দিবাগত রাতে মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।
তবে বর্তমান ভয়াবহ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে শবেকদর উদ্যাপন করবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। অন্যবার এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারা দেশের মসজিদে আলোচনা, মিলাদ, নফল ইবাদত ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হলেও এবার তেমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, শবে কদর উদযাপনের বিষয়ে নতুন করে কোনো নির্দেশনা নেই। শর্ত সাপেক্ষে মসজিদগুলো যথারীতি খোলা থাকছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। হাদিস শরিফে আছে, ২০ রমজানের পর যেকোনো বেজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে বেশির ভাগ আলেমের অভিমত।
শবেকদরের এ রাতে মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশেষ আসমানি কিতাব পবিত্র কোরআন শরিফ অবতীর্ণ হয় এবং এ রাতকে কেন্দ্র করে কোরআন শরিফে ‘আল কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব অর্জনের আশায় ঘরোয়া পরিবেশে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবে। পবিত্র এ রাতে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করে। এ ছাড়া সাধ্যমতো দান-সদকা করে থাকে অনেকে। শবেকদর উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি থাকবে।