Internation News

আদালতে দাঁড়িয়ে ধ’র্ষণের কথা অস্বীকার করে সু চি বললেন, ‘নোংরা বাঙালি মেয়েদের সেনারা ছোঁবেও না’ !!

(ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস, সংক্ষেপে আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।

শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারক সোমালিয়ার নাগরিক আব্দুলকায়ি আহমেদ ইউসুফ অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপরে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পক্ষে দুইজন অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি তাদেরকে মনে করিয়ে দেন, তারা যেন নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় বিচারের শুনানি শুরু হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী তাফাদজ পাসিপান্দো বলেছেন, রোহিঙ্গা নারীদের ধ’র্ষণের কথা অস্বীকার করে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি বলেছেন, সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর কেউ নোংরা বাঙালি মেয়েকে (রোহিঙ্গা) ছোঁবে না। ওরা আকর্ষণীয় নয়।

এই আইনজীবী বলেন, ধ’র্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ফেসবুকে ‘ফেক রেপ’ নামে যে পেজ খোলা হয়েছে, সেটির নিয়ন্ত্রণও হচ্ছে স্টেট কাউন্সিলরের দপ্তর থেকে।

আইনজীবী তাফাদজ এরপর আদালতের কাছে আরাকানে এখনো যে ছয় লাখ রোহিঙ্গা আছেন, তাদের দুর্ভোগ ও ঝুঁকির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সেখানে রোহিঙ্গাদের কাঁটাতারের বেষ্টনীর মধ্যে শিবিরে আটক রাখা, চলাচলের স্বাধীনতা খর্ব করা ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কথা, যা জাতিসংঘ তদন্তে উঠে এসেছে, সেগুলোর বিবরণ দেন।

এই আইনজীবী বলেন, রোহিঙ্গাদের চাষাবাদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, খাদ্য সরবরাহ কমানো হয়েছে, তাদের পালিত পশু কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘ তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের অভুক্ত রাখা। এগুলো গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে সনদের লঙ্ঘন। আরও গণহত্যার অপরাধ যাতে না ঘটে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেন এই আদালত। তিনি বিভিন্ন প্রমাণ তুলে ধরে বলেন, এগুলোয় গণহত্যার উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। এরপর তিনি তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

শুনানিতে গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু বলেছেন, মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ করুন। আধুনিক যুগে এই গণহত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইসিজেকে গণহত্যা বন্ধের নির্দেশ দিতে আহ্বান জানান তিনি।

আবুবকর মারি তামবাদু বলেন, রোহিঙ্গারাও মানুষ। তাদের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানসহ বাঁচার অধিকার রয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুরও অধিকার রয়েছে শিক্ষা লাভ করে ডাক্তার হওয়ার।বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত গাম্বিয়া ও মিয়ানমার যুক্তিতর্ক তুলে ধরবে।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসের রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ ও জেনোসাইডের আড়াই বছরের মধ্যেই মিয়ানমার বিচারের মুখোমুখি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্ষেত্রে এত স্বল্প সময়ে বিচারের উদ্যোগ নজিরবিহীন। মামলায় মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দিতে আইনজীবীদল নিয়ে গত রোববার হেগে গেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি।

অন্যদিকে গাম্বিয়ার পক্ষে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর এম তামবাদুউর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল হেগে পৌঁছেছে।

এ মামলায় বাংলাদেশ কোনো পক্ষ না হলেও শুনানি পর্যবেক্ষণ করতে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া-প্যাসিফিক) মাসুদ বিন মোমেনসহ বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল হেগে উপস্থিত রয়েছে। শুনানি ঘিরে হেগে গেছেন কানাডার মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত বব রেসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।এদিকে কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদলও হেগে পৌঁছেছে। এ ছাড়া সেখানে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক রোহিঙ্গাদের সংগঠন বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের প্রেসিডেন্ট তুন খিন বলেন, ‘অবশেষে মিয়ানমার সরকার ও এর সামরিক বাহিনী এখন সত্যিকারের চাপ অনুভব করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর জেনোসাইড সংঘটিত হচ্ছে—এ বিষয়ে আমরা আইসিজের আইনি রুলিং দেখতে চাই। যদি সেটি না-ও হয় আমাদের প্রত্যাশা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের রক্ষার মতো দৃষ্টি দেবে।’

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button