আফগানিস্তানের আইনমন্ত্রী নুরুদ্দিন, যার এক চোখ ও এক পা নেই

ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রচার ও অপকর্ম রোধে মন্ত্রণালয়ের প্রধান মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবীর এক চোখ বা এক পা নেই।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি সেই দুটি অঙ্গ হারিয়েছিলেন।

নুরউদ্দিন তালেবান শাসনের প্রথম দিনগুলোতে আফগানিস্তানের আইনমন্ত্রী ছিলেন। তিনি কারাগারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিভাবে ইসলামী আইন প্রয়োগ করা হয় বা এটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা তার দায়িত্বে ছিলেন নুরুদ্দিন। দ্বিতীয় তালেবান শাসনামলে এই দায়িত্ব তার উপর বর্তায়।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের মতে, অপরাধীদের ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। চুরি বা ছোটখাটো অপরাধের জন্য তিনি তার হাত -পা কেটে ফেলতেন। তালেবানের বিচারমন্ত্রী মোল্লা নুরউদ্দিন তুরাবি আবার একই শাসনের ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তালেবানরা মৃত্যুদণ্ড ও বিচ্ছেদের দিকে ফিরে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা আগের শাসনের মতো ইসলামী আইন প্রয়োগ করে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করবে।

নুরুদ্দিন তুরাবি শুক্রবার বলেছিলেন, “অতীতে, আমরা স্টেডিয়াম, মসজিদ বা ঈদগাহ মাঠে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি বলতে চাই, আমরা কখনোই সমালোচকদের আইন ও ন্যায়বিচার নিয়ে কথা বলিনি। তাদের আমাদের সম্পর্কেও কথা বলা উচিত নয়। আমরা ইসলাম মেনে চলব।আমরা কুরআনের ভিত্তিতে আমাদের আইন করব। ‘

যাইহোক, এবার প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই, তিনি বলেছিলেন।

তুরাবি বলেন, ‘সাধারণত ইসলামী আইনে দোষী সাব্যস্ত একজন খুনিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ক্ষেত্রে, শিকারের পরিবারের কেউ গুলি চালানোর জন্য দায়ী। যাইহোক, রক্তের টাকা দিয়ে, অপরাধীর বেঁচে থাকার সুযোগ ছিল। যখন তারা হাইওয়েতে ডাকাতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল, তখন তাদের একটি হাত এবং একটি পা কেটে ফেলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা ইসলামী আইন -শৃঙ্খলায় একটি শান্তিপূর্ণ দেশ চাই। শান্তি ও ইসলামী শাসন আমাদের একমাত্র কামনা। এমনকি আমাদের আগের শাসনব্যবস্থায়ও মানুষ খুব শান্তিপূর্ণ ছিল। মানুষের মধ্যে অপরাধ কম ছিল কারণ অপরাধীদের কোন ছাড় দেওয়া হয়নি। ‘

তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধের বিচারের জন্য চারজন সাক্ষী থাকতে হবে। সাক্ষীদের বক্তব্যে সামান্য পার্থক্য থাকলে কোন শাস্তি হবে না। কিন্তু সবাই যদি একই কথা বলে তাহলে শাস্তি হবে। সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের বিষয়গুলো দেখবে। তারা দোষী হলে তাদের শাস্তি হবে।

কাবুলের বাসিন্দা আমান এপিকে বলেন, “অপরাধীদের প্রকাশ্যে বিব্রত হতে দেখা ভালো না।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *