আবার ভারত সীমান্তে একটি এলাকা নিজেদের দাবি করল নেপাল !!
ভারত যেন পড়েছে মহা চাপে। একের পর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো তাদের চেপে ধরছে। ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন আরও একটি এলাকার ওপর নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর হয়ে উঠেছে নেপাল। ইতিমধ্যে তারা বিহার সরকারকে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ সংস্কারের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। কাঠমান্ডু বলছে, যে এলাকায় বিহারের রাজ্য সরকার বাঁধ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সেটি আসলে তাদের। লাদাখে ভারত-চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেই উত্তেজনার কোনো কমতি হয়নি এখনো। চীন ছাড়াও প্রতিবেশি নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চলছে ভারতের। সেই উত্তেজনার মধ্যে বিহারের এই অংশকে নিজেদের দাবি করেছে তারা।
এর আগে নেপাল যে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে সেখানেও ভারতের কিছু এলাকা (লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যে নেপালের পার্লামেন্ট ওই মানচিত্র সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। এবার নেপালের বাধার মুখে বিহার সরকারের ওয়াটার রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট সীমান্তে বাঁধ সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কাঠমান্ডু বলছে, যে এলাকায় ভারত বাঁধ এই সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছিল সেটি তাদের ভূখণ্ড। বিহারের কর্মকর্তারা জানান, রাজ্যের পূর্ব চামাপার্ন জেলার লাল বাকি নদীর উপর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে দেয়নি নেপালি কর্তৃপক্ষ। বিহারের দাবি, বহুদিন আগে থেকেই লাল বাকি নদীতে ওই বাঁধ ছিল। হঠাৎ করে সেটার কাজে বাধা দিয়েছে নেপাল।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী উমা নাথ রাম দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘নেপালের কর্মকর্তারা ৩.১ কিলোমিটার প্রসারিত কাজ শেষ হওয়ার পরেই আপত্তি শুরু করেছিলেন। তবুও, নেপালিরা এসে প্রকল্পটি বন্ধ করার আগে তিনি এবং তার দল একরকম আরও ৫০০ মিটার কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন।’ বিহারের সঙ্গে নেপালের ৭২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ভারতের পানি সম্পদ বিভাগ (ডব্লিআরডি) কর্তৃপক্ষ লাল বকেয় নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণে নেপালের বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এর আগে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সীমান্তের তিনটি বিতর্কিত এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করেছে নেপাল। সম্প্রতি তা দেশটির সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে। নেপালের সঙ্গে সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করা হবে বলে জানিয়েছিল ভারত।