আমার ছেলে তো আর পাব না, তবুও গর্ব দেশের জন্য জীবন দিল

গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এএসআই পিয়ারুল ইসলাম ও আরও তিন পুলিশ সদস্য গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে যান। সেখানে তিনি পলাশ নামে একজনকে গাঁজা সহ গ্রেফতার করেন।

পলাশের কাছে ছুরি দিয়ে পিয়ারুল ইসলামের বুকে আঘাত করে মাদক ব্যবসায়ী। পরে পিয়রুল ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার তার মৃত্যু হয়। ছুরিকাঘাতে সহকারী উপ-পরিদর্শক পিয়ারুলের মৃত্যুর পর শোক এখন কুড়িগ্রামে তার বাড়িতে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় যখন পিয়ারুলের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য ঘটে। তার মৃতদেহ দেখার জন্য এলাকার লোকজন বাড়িতে ভিড় করে। পিয়ারুলের মৃত্যুর খবরের পর তার বাবা -মা এবং স্ত্রী হাবিবা খাতুন হেনা বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। লাশের পাশে বসা, পিয়ারুলের দুটি অজ্ঞ শিশু খোলা চোখে তাকিয়ে আছে। আত্মীয়, বন্ধু ও স্থানীয়দের কান্নায় ভারী মাস্টার বাড়ি। মৃত পিয়ারুল ইসলামের বাবা আব্দুর রহমান মিন্টু বলেন, “আমার সন্তানের মৃত্যু মেনে নেওয়া আমার জন্য খুব কঠিন। তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন। আমি এতে গর্বিত। আমি আমার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ছেলের হত্যাকারী। ‘

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *