আলহামদুলিল্লাহ্‌! করোনার ওষুধ ‘অ্যাভিগান’ এবার তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশেই !!

গবেষকরা এবার দাবি করলেন, করোনাকে কাবু করার সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন। করোনা থেকে রক্ষা পেতে গবেষকরা নতুন ওষুধ আবিষ্কার করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। সুখবর হচ্ছে এটি এখন বাংলা‌দে‌শেও তৈ‌রি হ‌চ্ছে।

জাপানের ফুজিফিল্ম তয়োমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি. তৈরি করল ফ্যাভিপিরাভির ‘অ্যাভিগান’ নামে ট্যাবলেট। যা কি-না করোনাভা’ইরাসকে কার্যকরভাবে মেরে ফেলা সম্ভব। এরই মধ্যে অন্তত ডজনখানেক ওষুধ যেমন- ফ্যাভিপিরাভির, রেমডেসিভির, ইন্টারফেরন আলফা টুবি, রিবাভিরিন, ক্লোরোনকুইনিন, লোপিনাভির এবং আরবিডল কভিড-১৯ চিকিৎসার সারিতে জমা হয়েছে। সরাসরি নভেল করোনাভা’ইরাসের জন্য তৈরি না হলেও অন্য ভা’ইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করা ড্রাগ করোনাভা’ইরাস ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু হয়েছে।

করোনাভা’ইরাসের চিকিৎসায় ট্যাবলেট অ্যাভিগান জাপানের ফুজি ফিল্ম কোম্পানির সাবসিডিয়ারি ওষুধ কোম্পানি তয়োমা কেমিক্যাল। ট্যাবলেটটির জেনেরিক নাম ফ্লাভিপাইরাভির। ওষুধটি এখন বাংলাদেশের বেক্সিমকো ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস তৈরি শুরু করছে।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী রবিবার ওষুধটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসনে হস্তান্তর করবে। ওষুধ‌টি সরকারকে সরবরাহ করার পাশাপাশি যে সমস্ত হাসপাতালে করোনা রোগী আছে সেখানেও সরবরাহ করা হবে। তবে এখনই ফার্মেসিতে সরবরাহ করা হবে না। ম্যাটেরিয়াল স্বল্পতার কারণে এখন মাত্র ১০০ রোগীর জন্য ওষুধটি তৈরি হবে, তবে এ মাসের মধ্যেই ওষুধটি উৎপাদন বাড়াতে পারবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস যে সমস্ত হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি আছে সেখানে ওষুধটি পৌঁছে দেবে। প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ৪০০ টাকা হলেও এখন এটি বিনামূল্যে আ’ক্রান্ত রোগীদের সরবরাহ করা হবে।ওষুধটি প্রস্তুতের পেটেন্ট জাপানের হলেও অনুন্নত দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধটি প্রস্তুতের অনুমোদন দিয়েছে।

ফ্লাভিপাইরাভির ওষুধটি কভিভ-১৯ রোগের সুনিশ্চিত চিকিৎসা নয়, তবে ১২০ জন রোগীর ওপরে পরীক্ষা করে সাফল্য পাওয়া গেছে। আ’ক্রান্ত তরুণ রোগীদের ওপর ওষুধটি ব্যবহার করে সাত দিনে এবং বয়স্কদের ওপর ব্যবহার করে নয় দিনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ হয়েছে। ফ্লাভিপাইরাভির ওষুধটির সাথে ওরভেসকো নামক আরও একটি ওষুধ মিলিয়ে ট্রায়ালগুলো করা হয়েছে।জাপান, তুরস্ক এবং চায়না ওষুধটি ব্যবহার করছে। কোভিড-১৯ রোগে আ’ক্রান্তের তিনটি পর্যায়- সাধারণ, মাঝারি ও মারাত্মক। এই তিন ক্ষেত্রেই ওষুধটি কার্যকর। গর্ভস্থ শিশুর ওপর ওষুধটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।

এখন পর্যন্ত এই ভা’ইরাস দমনে কার্যকর প্রমাণিত কোনো ওষুধ বের হয়নি। হয়নি আবিষ্কারের কোনো ভ্যাকসিন বা টিকা। তবে এরই মধ্যে অন্তত ডজনখানেক ওষুধ যেমন ফ্যাভিপিরাভির, রেমডেসিভির, ইন্টারফেরন আলফা টুবি, রিবাভিরিন, ক্লোরোনকুইনিন, লোপিনাভির এবং আরবিডল কভিড-১৯ চিকিৎসার সারিতে জমা হয়েছে। সরাসরি নভেল করোনাভা’ইরাসের জন্য তৈরি না হলেও অন্য ভা’ইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করা ড্রাগ কোভিড-১৯ ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার শুরু হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *