আসছে সূর্যগ্রহণেই করোনার বিদায়? ভারতীয় বিজ্ঞানীর দাবিতে চাঞ্চল্য !!

বিশ্বজুড়ে মহাপ্রলয় সৃষ্টি করেছে আনুবিক্ষণীক জীব নভেল করোনা ভা’ইরাস। এরই মধ্যে মারণ ভা’ইরাসের ছোবলে প্রাণ গেছে ৪ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্ত প্রায় ৮০ লাখ। এখনো কোন কার্যকর ওষুধ কিংবা প্রতিষেধক নেই। বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী ও ভা’ইরোলজিস্টরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কিভাবে এলো এই মারণ ভা’ইরাস? কেউ বলেছেন, রাসায়নিক গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে করোনা জৈব মারনাস্ত্র। আবার অন্যপক্ষ দাবি করেছেন, প্রকৃতি থেকে স্বাভাবিকভাবেই এই মারণ ভা’ইরাসের জন্ম হয়েছে।

দুপক্ষের দড়ি টানাটানির মাঝে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন ভারতের চেন্নাইয়ের এক বিজ্ঞানী। বললেন, কোনো গবেষণাগার বা পরিবেশ নয়, কভিড-১৯ এর জন্ম রহস্যের সঙ্গে সূর্যগ্রহণের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর এমন দাবিতে নড়েচড়ে বসেছে বিজ্ঞানী মহল। কবে এই ভা’ইরাসের দাপট শেষ হবে, তা নিয়েও আভাস দিয়েছেন এই বিজ্ঞানী।

চেন্নাইয়ের ওই বিজ্ঞানীর নাম ডক্টর কেএল সুন্দর কৃষ্ণা। তিনি নিউক্লিয়ার ও আর্থ সায়েন্টিস্ট। দাবি, করোনাভা’ইরাসের সঙ্গে গ্রহনক্ষত্রের একটা যোগসূত্র রয়েছে। নিছকই এক ভা’ইরাস পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে না। বরং মহাজাগতিক ঘটনাই এর জন্য দায়ী।

সেটা কীভাবে? গত বছর ডিসেম্বরেই করোনাভা’ইরাসের সংক্রমণের খবর প্রথম মেলে। বিজ্ঞানীর দাবি, ২৬ ডিসেম্বর ছিল সূর্যগ্রহণ। তারপর থেকেই এমন একটা ভা’ইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। কাজেই সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে এমন এক রাসায়নিক বদল হয়েছিল যার থেকেই এই ভা’ইরাসের জন্ম।

ড’ক্টর কৃষ্ণার বক্তব্য অবশ্য এখানেই থেমে থাকেনি। তিনি তাঁর থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে সূর্যগ্রহণের সঙ্গে ভা’ইরাস মহামারীর যোগসূত্র রয়েছে। বিজ্ঞানীর দাবি, সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তড়িদাহত কণাদের মধ্যে একটা বড়সড় রাসায়নিক বদল হয়েছিল। এমন এক বায়ো-নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন যার কারণে নিউট্রনের বদল শুরু হয়। এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয় যাতে করোনাভা’ইরাসের নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। এই বায়ো-নিউক্লিয়ার ইন্টার‍্যাকশনই ভা’ইরাস তৈরির অন্যতম কারণ।

গবেষকের দাবি এই ভা’ইরাস তৈরি হয়েছে বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে। এই আয়নোস্ফিয়ার রয়েছে ভূপৃষ্ঠের ৬০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার উপরে। সূর্যরশ্মির প্রভাবে সেখানে তড়িদাহত কণা তৈরি হয়। দিনের বেলা ন্যূনতম ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় এই তড়িদাহত কণা পাওয়া যায়। রাতে এই স্তরই ৯০ কিলোমিটার উপরে উঠে যায়। ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার, এই স্তরটিকে বলা হয় ‘ডি-লেভেল’। এই আয়নোস্ফিয়ারকে কাজে লাগিয়ে রেডিও তরঙ্গ প্রতিফলিত করে বার্তা লেনদেন করা হয়। এই স্তরে কীভাবে ভা’ইরাস তৈরি হতে পারে তার কোনও ধারণাই দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।

যদিও চেন্নাইয়ের গবেষকরের আরও দাবি, এক সূর্যগ্রহণে ভা’ইরাস তৈরি হয়েছিল, পরবর্তী সূর্যগ্রহণে সেই ভা’ইরাস উধাও হয়ে যাবে। আগামী ২১ জুন ফের সূর্যগ্রহণ হবে, এবং এবার একই সঙ্গে হবে সূর্যের বলয়গ্রাস ও পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে। এই গ্রহণেই নাকি মহামারীর অবসান হতে চলেছে, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীর।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *