Probashi News

ইতালিতে বৈধতার আবেদনের সময়-শর্ত ও যারা আবেদনের অযোগ্য !!

করোনাকালে মা’নবতা দেখানো ইতালির সরকার অভিবাসী কর্মীদের বৈ’ধতার প্রশ্নে কিছু বিষয়ে খুবই ক’ঠোর থাকবে বলে আগাম জানিয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে সাজানো নিয়োগকর্তা, মি’থ্যা ঘোষণা বা ভু’য়া কাগজপত্র তৈরি কিংবা সত্যায়ন করলে আবেদনকারীকে অবশ্যই দৃ’ষ্টান্তমূল’ক শা’স্তির মুখোমুখি হতে হবে।

জা’লিয়াতির ধরণ ও মাত্রা বিবেচনায় সেই শা’ন্তি বেসরকারী পর্যায়ে ন্যূনতম ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত কা’রাদ- হতে পারে। আর কোনো ইতালিয়ান সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারির এমন অপ’রাধে জ’ড়িত থাকা প্রমাণ পাওয়া গেলে তার শা’স্তি উপরোল্লিখিত দ-ের এক তৃতীয়াংশ বাড়বে, অর্থাৎ ৯ বছর পর্যন্ত জে’ল হতে পারে!

এমতাবস্থায়, বৈধতার আশায় থাকা ডকুমেন্টবিহীন বাংলাদেশী নাগরিকদের কোনো রকম গু’জবে কান না দিয়ে, কোনো দালাল বা স্বার্থান্বেষী কারও মি’থ্যা প্র’লোভনে সাড়া না দিয়ে, ভালোভাবে জেনে-বুঝে, প্রয়োজনে ইমিগ্রেশন আইনজীবী কিংবা মিশনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মিলানস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ওই সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে। বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়- সম্প্রতি ইতালি সরকার দেশটিতে অবস্থানকারী ডকুমেন্টবিহীন বিদেশী নাগরিকদের নিয়মিতকরণের ঘোষণা প্রদান করেছে এটা সত্য কিন্তু এখনো অফিসিয়াল গেজেট নোটিফিকেশন হয়নি। তথাপি উক্ত ঘোষণার খসড়ার ভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবহিতকরণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্দিতে মিশন কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা জরুরি মনে করেছে। অফিসিয়্যাল গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন বা পার্থক্য পরিলক্ষিত হলে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা সকলকে অবহিত করা হবে বলেও জানানো হয়।

১৬ই মে মিলানস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অফিসিয়্যাল ফেসবুক পেজে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি মতে, বৈধতা পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র তারাই আবেদন করতে পারবেন- যারা (ক) কৃষি, হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, মৎস্য আহরণ ও মৎস চাষ এবং এতদসংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত। (খ) শারীরিকভাবে অক্ষম লোকদের সেবায় নিয়োজত এবং (গ) গৃহকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা, অন্যরা নয়। গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রচার প্রসঙ্গে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মানবজমিনকে গতকাল বলেন, ইতালিতে থাকা প্রায় ৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীর মধ্য থেকে কৃষি ও গৃহস্থালি খাতে অত্যাবশ্যকীয় কিছু কর্মীর বৈধতার সরকারী ঘোষণায় যে যার মত করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। করোনার এই দুঃসময়ে ওই দুই খাতে আগে থেকে কাজ করছেন এমন কয়েক হাজার অভিবাসীকে কঠিন শর্তে বৈধতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের সরকার। ইতালির রাজনীতি বিশেষতঃ সরকারী জোটের শরীক দলগুলোর মধে মাসব্যাপী চলা আলোচনা ও বিতর্কের পর ১৩ই মে মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে এ ঘোষণা আসে। তবে এখনও গেজেট হয়নি। ২০১২ সালের পর থেকে ইতালিতে বৈধতার জন্য মুখিয়ে আছেন অবৈধ অভিবাসীরা। কিন্তু দু’টি খাত নির্দিষ্ট করে দেয়ায় শর্তযুক্ত ওই সূযোগ অভিবাসীদের খুব একটা উপকার হবে বলে মনে করছেন না পর্যবেক্ষকরা। বাংলাদেশিদের তো নয়ই। কারণ নিয়মতি বা অনিয়মিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই হোটেল-মোটেল, টেকওয়ে এবং শিল্প-কারখানায় কাজ করেন। কৃষি এবং গৃহস্থালী কাজে বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ততা খুব একটা নেই। কিন্তু তারপরও সহজ-সরল বাংলাদেশিদের ধোঁকায় ফেলতে অসাধু দালাল চক্র নানামুখি প্রচারণা চালাচ্ছে।

যেখানে কৃষি ও বয়োজ্যেষ্ঠদের দেখভালসহ গৃহস্থালি খাতে কয়েক হাজার কর্মীর কাজ সেখানে ৫ লাখের বৈধতার গল্প প্রচার করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ইতালির শ্রমঘন মিলান-লোম্বার্দি এলাকায় থাকা বাংলাদেশিদের দালালচক্র থেকে রক্ষায় জরুরি বার্তা প্রচার করছে মিলানের বাংলাদেশ কনস্যুলেট। কনস্যুলেট প্রচারিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং দালালচক্রের হয়রানির সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে সরকারী ঘোষণার বিস্তরিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়Ñ বৈধকরণের প্রক্রিয়াটি প্রধানত: নিয়োগকর্তা সংশ্লিষ্ট। নিয়োগকর্তারাই আবেদন করবেন, তারা ফি পরিশোধ করবেন এবং সরকারের কাছ থেকে কর্মীদের বৈধতা আদায় করবেন। এতে ব্যক্তিগতভাবে আবেদনের সুযোগ সীমিত।

আবেদনের সময় ও শর্ত : বিজ্ঞপ্তি মতে, প্রথমত: যে সব অভিবাসী ৮ই র্মাচ ২০২০ তারিখের পূর্বে ইতালিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছেন বা উক্ত তারিখের আগে থেকে দেশটিতে অবস্থান করছেন এবং ৮ই র্মাচ ২০২০ এর পর (স্বল্প সময়ের জন্য হলেও) ইতালি ছেড়ে অন্যত্র যাননি এবং যাদের কোনো বৈধ ডকুমেন্ট নাই বা ছিল না, তাদের পক্ষে নিয়োগর্কতারা আবেদন করতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে কর্মীর আবেদনের সুযোগ নাই। একজন নিয়োগকর্তা তার আয় অনুযায়ী তার অধীনে র্কমরত প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডকুমেন্টবিহীন বিদেশীর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, ওই ব্যক্তি তার অধীনেই বর্ণিত কোনো সেক্টরে র্কমরত ছিলেন। প্রতিজন কর্মচারী বা কর্মীর জন্য নিয়োগকর্তাকে ৪০০ ইউরো ফি পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত: বর্ণিত কৃষি ও গৃহস্থালী খাতে আগে থেকে কর্মরত ছিলেন বা আছেন এরূপ যে সকল বিদেশী নাগরিকগণের রেসিডেন্স পারমিট, সোর্জন, ডকুমেন্ট-এর মেয়াদ ৩১শে অক্টোবর ২০১৯ এর পূর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তা আর নবায়ন করা হয়নি বা নবায়নের আবেদন বাতিল বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে তারা ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন অফিস বা কস্তুরায় আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদেরকে ১৬০ ইউরো ফি পরিশোধ করতে হবে। ১ লা জুন থেকে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে, চলবে ১৫ই জুলাই ২০২০ পর্যন্ত। অবশ্যই ওই সময়ের মধ্যে আবেদন দাখিল করতে হবে।

যারা আবেদনের অযোগ্য: তবে ইতালিতে কোনো অ’পরাধে সা’জাপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিক বা যাকে (দেশটির আদালত বা প্রশাসিক সিদ্ধান্তে) বহিষ্কারের আদেশ প্রদান করা হয়েছে এমন ব্যক্তিরা আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাছাড়া যে সকল নিয়োগকর্তা গত পাঁচ বছরের মধ্যে অ’বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অ’পরাধে বা প’তিতা বৃ’ত্তিতে সহায়তার অ’পরাধে বা অ’বৈধ কাজ-কর্মে শিশুদের নিয়োজত করার অ’পরাধে বা ‘বেআ’ইনি দালালীর সঙ্গে জড়িত থাকার অপ’রাধ বা এতদসংশ্লিষ্ট অন্য কোনো অ’পরাধে জড়িত থাকার কারণে সা’জাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা তাদের অধীন নিয়োজিত কোনো ব্যক্তির জন্য আবেদন জমা করতে পারবেন না। উৎস: মানবজমিন।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button