যে কারনে ‘ইত্যাদি’ ছাড়া অভিনয় করেন না নাতি !!
অভিনেতা শওকত আলী তালুকদার ‘ইত্যাদি’ছাড়া অন্য কোথাও খুব একটা কাজ করেন না। নানা ও নানির সঙ্গে নাতি হিসেবে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।দর্শকদের কাছে তিনি নাতি হিসেবেই পরিচিত। যত দিন বাঁচবেন, এই পরিচয়ে ‘ইত্যাদি’ তেই অভিনয় করতে চান তিনি।শওকত আলী তালুকদার নিপু নামেও পরিচিত। টানা ২৮ বছর ধরে ‘ইত্যাদি’র নানা-নাতি নাট্যাংশে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। প্রথম পর্ব প্রচারের পর থেকেই দর্শকেরা সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন তাঁকে। তারপর থেকে নির্মাতারাও তাঁকে নিয়ে কাজ শুরু করেন।
তাঁর অভিনীত কাজগুলো তেমন সাড়া পায়নি। এখন ‘ইত্যাদি’ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠানে কাজ করেন না তিনি। শওকত আলী তালুকদার বলেন, ‘“ইত্যাদি” অনুষ্ঠানে অভিনয় করে আমি প্রশংসা পেয়েছি। দর্শক আমাকে নাতি হিসেবেই চেনে। নাতি চরিত্রের প্রতি আমারও মায়া তৈরি হয়ে গেছে। অন্য কোনো চরিত্রে জনপ্রিয়তা পাব, সেটা আমি আশা করি না। যত দিন “ইত্যাদি” চলবে, ভেবেছি তত দিনই “ইত্যাদি”র সঙ্গে থাকব। আমার মনে হয়, একটি ভালো কাজই যথেষ্ট।’অভিনয়ের জন্য এখনো তাঁকে ডাকেন নির্মাতারা। তিনি বিনয়ের সঙ্গে তাঁদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তবে বাধ্য হয়ে কিছু কাজ করতেও হয়। তবু ভয়, নাতি হিসেবে দর্শক তাঁকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, অন্য চরিত্রে যদি না করেন!
শৈশবে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি করে পরিবার এবং বন্ধুদের হাসাতেন নিপু। অন্যরা আনন্দ পাচ্ছেন দেখে ভালো লাগত তাঁর। এখান থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। ১৯৮৯ সাল থেকে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর জায়নাল মার্কেট এলাকায় স্টেজে অভিনয় করতেন। মানুষ তাঁর অভিনয় দেখে বাহবা দিতেন। তাঁকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয় টেলিভিশনের মানুষদের। ১৯৯২ ঢাকা এবং ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত স্টেজ শো শুরু করেন।
মা তাঁকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতেন। ১৯৯৩ সালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে স্টেজ শো করতে গিয়েই ‘ইত্যাদি’র নির্মাতা হানিফ সংকেতের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হানিফ ভাই। তিনি আমার পারফরম্যান্স পছন্দ করেন। সেই সময়ই তিনি আমাকে “ইত্যাদি”তে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। তখন থেকেই হানিফ ভাইয়ের সঙ্গে আছি।’
১৯৮১ সালে ঢাকায় জন্মেছেন শওকত আলী তালুকদার। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর। পরিবারের সঙ্গে থাকেন ঢাকার উত্তরায়। তাঁরা তিন ভাই ও এক বোন। ‘ইত্যাদি’ তাঁর প্রিয় অনুষ্ঠান। দর্শক হিসেবে নিয়মিত তিনি অনুষ্ঠানটি দেখেন। প্রচারের সময় প্রতি পর্বে নিজের ভুলগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে শিক্ষা নেন, কীভাবে আরও ভালো করা যায়। শওকত এখনো অবিবাহিত। পরিবারের সবাইকে নিয়ে কালও তিনি অনুষ্ঠানটি দেখেছেন। সূত্র: প্রথম আলো