ইফতারের আগে স্ত্রী’কে খু’ন- আর সেহরীর পর প্রা’ণ গেল শাশুড়ীর !!

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পর’কীয়া সন্দেহে জামাতার উপুর্যপরি ছুরি’কাঘাতে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতুর নি’হত হওয়ার পর এবার শাশুড়ি পারভীন আক্তারেরও প্রা’ণ গেল। ছুরিকাঘাতে তাৎক্ষনিক স্ত্রী রিতুর মৃত্যু হলেও শাশুড়ি পারভীন দুইদিন চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার (১৫ মে) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে মৃ’ত্যু বরণ করেন। এদিকে ঘা’তক আল মামুন মোহনকে বৃহস্পতিবার বিকালে ১৬৪ ধারায় জবা’নবন্দি দেয়ার জন্য আ’দালতে হাজির করা হয়। তিনি অপ’রাধ স্বী’কার করলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত।

জানা গেছে, লোহ’মর্ষক এ ঘটনার পর ছুরি’কাঘাতে গু’রুতর আ’হত ঘা’তক মোহনের শাশুড়ি পারভীন আক্তারকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহষ্পতিবার রাতে তার অবস্থার অ’বনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করে। ঢাকা নেয়ার পথে শুক্রবার ভোরে তিনি মৃ’ত্যু বরণ করে। শুক্রবার সকালে তার লা’শ থানায় আসার পর পু’লিশ পো’স্ট ম’র্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করেছে। এদিকে নি’হত রিতুর পোস্ট মর্টেম শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার লা’শ দা’ফন করা হয়।

উল্লেখ্য, নৃ’শংস এই খুনের ঘটনা ১৩ মে বুধবার ইফতার পুর্ব সময়ে উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় ঘটে। জানা গেছে, আড়াই বছর আগে পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মনতাজ মাস্টারের ছেলে আল মামুন মোহন ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া গ্রামের খাঁ বাড়ির সেলিম খানের মেয়ে তানজিনা আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সৌদি আরবে গেলেও গত দেড় বছর পূর্বে আল মামুন মোহন সৌদি আরব থেকে ফেরত আসে।

১৩ মে বুধবার বিকেলে সে তার নিজ বাড়ি রায়পুর থেকে শশুড় বাড়ি ফরিদগেঞ্জর গৃদকালিন্দিয়া আসে। ইফতারের পূর্বে মুহুর্তে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতুর সাথে কথা কাটা’কাটির এক পর্যায়ে রিতুকে উ’পর্যুপরি ছুরি’কাহত করে। এক পর্যায়ে মে’য়ের আ’ত্মচিৎকারে মা পারভীন আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরি’কাহত করে মোহন। এসময় সে পা’লিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে আটক করে গ’ণধোলাই দেয়। পরে তাকে পুলি’শের হাতে তুলে দেয়। এরপর রিতুকে দ্রুত ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষনা করে।

নি’হত রিতুর মামী তাছলিমা বেগম জানায়, সৌদি আরব থেকে মোহন চলে আসার পর বেকার অবস্থায় ছিল। বিয়ের সময় রিতুকে দেয়া স্বর্ণালংকার সবকিছু বিক্রি করে ফেলে সে। এছাড়া বাড়িতে বসবাস করার জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় রিতু স্বামীর বাড়িতে যেতে চাইতো না। সে বাপের বাড়ি থেকেই পড়ালেখা করতো। এই নিয়ে মোহন স্ত্রীকে স’ন্দেহ করতো যে, সে পর’কিয়ায় আ’সক্ত। এসব বিষয় নিয়ে দ্ব’ন্দ্বের জের ধরে রিতুকে হ’ত্যা করে এবং তার মা ও ভাইকে আ’হত করে মোহন।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রকিব জানান, রিতুর মৃ’ত দেহের পো’স্ট ম’র্টেম সম্পন্নের পর শাশুড়ির লা’শ উ’দ্ধার করে পো’স্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। নি’হত রিতুর চাচা লিয়াকত খান বা’দী হয়ে বৃহষ্পতিবার সকালে ফরিদগঞ্জ থা’নায় মা’মলা দায়ের করেছেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি জানান, রিতুর ময়’নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে তার লা’শ দা’ফন করা হয়। তার শাশুড়ির লা’শ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁ’দপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। নি’হত রিতুর চাচা লিয়াকত খান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানায় মা’মলা করেছেন। ঘা’তক মোহন প্রাথমিকভাবে হ’ত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

সূত্র- বিডি২৪লাইভ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *