ইরানের নতুন সোলাইমানি !!

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাম জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের এ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রথমবারের মতো মার্কিন কোনো স্থাপনায় সরাসরি মিসাইল হামলার চালায় ইরান।

সোলাইমানির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার কুদস ফোর্সের নতুন কমান্ডার নিয়োগ দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। নতুন নিয়োগ পাওয়া এ কমান্ডারের নাম জেনারেল ইসমাইল কায়ানি।

কেমন মানুষ, কেমন যোদ্ধা তিনি? তার কিছু তথ্য দিয়ে ডয়েচে ভেলে।৬৩ বছর বয়সী ইসমাইল কায়ানির জন্ম মাসাদ শহরে। ইরানের দ্বিতীয় জনবহুল শহর মাসাদ শিয়া মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।

সোলাইমানির দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা:

জানা গেছে, কুদস বাহিনীর প্রধান হিসেবে সোলাইমানি ইরানের পশ্চিমের দেশগুলোতে কাজ করতেন, কায়ানি ছিলেন উত্তরাঞ্চলের দায়িত্বে। সেখানে মাদক পাচার রোধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এছাড়া আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী যুদ্ধে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সহায়তা করেছেন।

৪০ বছরের অভিজ্ঞতা:

১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গঠন করা হয়। পরের বছরই এই বাহিনীতে যোগ দেন কায়ানি।

ইরান-ইরাক যুদ্ধে ভূমিকা:

১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালে চলা ইরান-ইরাক যুদ্ধে কাসেম সোলাইমানির মতো তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুর পর কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েই ইসমাইল কায়ানি বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ চান আমরা শহিদ সোলাইমানির হয়ে প্রতিশোধ নেই। নিশ্চিতভাবেই তা করা হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *