ইরানের সঙ্গে সং’ঘাত, ভারতকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র !!

গত শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হা’ম’লায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরানের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় শক্তি ও তেহরান-ঘনিষ্ঠ ভারতকে সঙ্গে রাখতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ভারতের চেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের সং’ঘাতের পরিবেশে দু’দেশের সঙ্গেই যতটা সম্ভব ভারসাম্য বজায় রেখে চলা। গত কয়েক দিনের কূটনৈতিক আদানপ্রদানের পরে এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির।

এদিকে কাসেম সো’লাইমানি হ’ত্যা’র পরে ভারত যে সাবধানী বিবৃতিটি দেয় তাতে কোথাও ঘটনার নিন্দা ছিল না। আবার কাসেম সো’লাইমানি সম্পর্কেও কোনও নেতিবাচক উল্লেখ ছিল না। এরপরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প দিল্লিতে এক জঙ্গি হামলার সঙ্গে কাসেম সো’লাইমানির যোগকে তুলে ধরে টুইট করেন। ভারত কিন্তু তাতে টুঁ শব্দও করেনি।

এরপরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাঁদের ইরান-নীতি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও কথা বলেন ভারতের হবু পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে। গতকাল রাতেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শ’ঙ্ক’রের সঙ্গে কথা হয় পম্পেওর।

এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই শেষ ফোনালাপের পরে পম্পেও তাঁর টুইটে ইরানের ঘোর নিন্দা করে বলেন, ‘এস জয়শঙ্কর এবং আমি এখনই কথা বললাম ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া ক্রমাগত উস্কানি এবং হুমকি নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং আমাদের বন্ধুদের জীবন বাঁচাতে ও নিরাপদ রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন কোনও দ্বিধা করবে না।’

তবে পম্পেওর সঙ্গে এই টেলিফোন সংলাপের পরে জয়শ’ঙ্কর যে টুইটটি করেন সেখানে ইরানের নামোল্লেখ পর্যন্ত নেই। তাঁর বক্তব্য, উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তে’জনা বাড়া নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর সঙ্গে ফোনে কথা হলো। ভারতের উদ্বেগ ও স্বার্থের দিকটিকে তুলে ধরা হয়েছে।

এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, দুই নেতার একই বিষয়ে এই দুই পৃথক ভাষ্য নিয়ে। কূটনৈতিক সূত্রের অভিমত, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেও ইরানকে রাগাতে চাইছে না। চাবাহার বন্দিরে বিপুল বিনিয়োগ, ইরানের সহায়তায় পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানসহ পশ্চিম এশিয়ার বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানো, পরে ফের তেল আমদানির রাস্তা খুলে রাখার মতো বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে।

উল্টো দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি খুঁটিনাটি সম্পর্কেই অবহিত। ইরান ও ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথাও তাদের অজ্ঞাত নয়। তাই ইরানকে বিশ্বে একঘরে করে দেওয়ার যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, তাতে নয়াদিল্লিকে তেহরানের থেকে দূরে এবং বিচ্ছিন্ন রাখাটা জরুরি হোয়াইট হাউসের কাছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *