উহানের সেই ল্যাব নিয়ে এবার বেড়িয়ে এলো নতুন তথ্য !!

বণ্যপ্রাণীর বাজার থেকে নয় বরং উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভা’ইরাস। সম্প্রতি এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক খ্যাতনামা লেখক ও বিশেষজ্ঞ।তার অভিযোগ বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ থেকে এটা বলা যায় যে, অবশ্যই উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই করোনাভা’ইরাস ছড়িয়েছে, কোনো বণ্যপ্রাণীর বাজার থেকে নয়।

রোববার রাতে স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে চীনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্লিভ হেমিলটন বলেন, দক্ষিণ চীনের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে করোনার উৎপত্তি হয়েছে এই কথার এখন আর কোনো ভিত্তি নেই।তিনি বলেন, প্রথমদিকে কোভিড-১৯য়ে যারা আ’ক্রান্ত হয়েছেন তাদের কারো সঙ্গেই উহানের সামুদ্রিক বাজারের কোনো সম্পর্ক ছিল না। যদিও প্রথম থেকে ওই সামুদ্রিক বাজারকেই এই ভা’ইরাসের উৎপত্তির জন্য দায়ী করে আসা হচ্ছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবরে বেশ কিছুদিন উহানের ওই ল্যাব বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেন বন্ধ ছিল, সেখানে কি হয়েছিল সে সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। সে কারণে ওই ল্যাবকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের জল্পনা দানা বাঁধছে।

বরাবরই করোনা সংক্রমণের পিছনে উহান বাজারের ভূমিকার কথা সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর সেইসঙ্গে উহানের ল্যাবরেটরি থেকে ভা’ইরাস ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আগেই আঙুল তুলেছে আমেরিকা। এবার উহানের সেই গবেষণাগার সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল।এক নতুন রিপোর্টে জানা গেল, গত অক্টোবর থেকেই নাকি বন্ধ রাখা হয়েছিল উহান ল্যাব। সেলফোন বা মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া তথ্য এমনটাই বলছে।

এনবিসি নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন স্পাই এজেন্সি এই সংক্রান্ত ডকুমেন্ট খতিয়ে দেখছে। এনবিসি নিউজের হাতে রয়েছে সেই তথ্য। জানা গেছে, গত ৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও সেলফোন ব্যবহার করা হয়নি। যদিও ল্যাব বন্ধ রাখা হয়েছিল কিনা, তার সরাসরি কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।‘ডেইলি মেইল’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেলফোন ও স্যাটেলাইট ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, ল্যাবরেটরি শাটডাউন করা হয়েছিল। যদিও ওই সংস্থা পরে জানায়, ওই রিপোর্ট সম্পূর্ণ নয়।

এই উহান প্রদেশের সি ফুড মার্কেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। করোনাভা’ইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ওই বাজার থেকেই। এতদিন পর্যন্ত এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। কিন্তু শুক্রবার এই প্রথম সংস্থাটি জানিয়ে দেয়, করোনা সংক্রমণের নেপথ্যে উহানের ওই বাজারের ভূমিকা রয়েছে।

শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ, পিটার বেন এমবারেক বলেন, “সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে উহানের বাজারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছিল তা এখনও আমরা পরিষ্কার করে জানি না।”তিনি বলেন, ‘এটা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না জীবজন্তুদের থেকেই ওই বাজারের দোকানদারদের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।”মনে করা হচ্ছে, ওই এলাকায় কোনও এক বিশেষ ঘটনার জন্যই উহান ইনস্টিটিউট অবভা’ইরোলজিতে ফোনের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *