একসঙ্গে দুই বান্ধবীকে ধর্ষণ-হত্যা, একসঙ্গেই মিন্টু ও আজিজের ফাঁসি-পাশাপাশি দাফন
২০০৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কামেলা খাতুন এবং তার বন্ধু ফিঙ্গ বেগমকে রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। সোমবার রাতে দায়ের করা মামলায় আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) এবং মিন্টু ওরফে কালুর (৫০) ফাঁসি হয়।
ফাঁসির পর মিন্টু ও আজিজকে নিজ নিজ গ্রামে একসঙ্গে সমাহিত করা হয়। মঙ্গলবার সকালে জানাজা শেষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়লক্ষ্মীপুরে তাদের গ্রামের কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এলাকার অসংখ্য মানুষ তাদের জানাজায় অংশ নেয়। দাফনের ঠিক কয়েক মুহূর্ত আগে ভারী বৃষ্টি কবরস্থানে ব্যাঘাত ঘটায়।
সকালে আশেপাশের গ্রাম থেকে অনেক নারী -পুরুষ মিন্টু ও আজিজের বাড়িতে আসেন। কেউ কেউ তাদের কবর দেখতে যায়।
এর আগে, তারা দুপুর আড়াইটার দিকে আলমডাঙ্গার রায়লক্ষ্মীপুরে পৌঁছায়। আজিজুল ও মিন্টুর দাফনের জন্য নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে গ্রামের মসজিদে ফজরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজিজ ও মিন্টুর লাশ মসজিদের ফাঁকা প্রাঙ্গণের সামনে রাখা হয়।
গ্রামবাসীদের মতে, ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুলের চাচাতো ভাই আতিয়ার রহমান জানাজায় নেতৃত্ব দেন। সকাল হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে গ্রামের কবরস্থানের পাশাপাশি কবরেও সমাহিত করা হয়।