এবার জীবন বাঁচাতে থাইল্যান্ডের দিকে ছুটছে মিয়ানমারের নাগরিকদের ঢল !!

সামরিক জান্তার দমনপীড়ন থেকে জীবন বাঁচাতে এবার থাইল্যান্ডের দিকে ছুটছে মিয়ানমারের নাগরিকদের ঢল। কিন্তু থাই কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে (পুশ ব্যাকড)। ফলে মিয়ানমারের ওইসব নাগরিক এখন বিভিন্ন জঙ্গলে আত্মগোপন করে আছেন।

এতে আরও বলা হয়, ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা মিয়ানমারে বিমান হামলা শুরু করেছে। ধারাবাহিক বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু থাই কর্তৃপক্ষ তার পরপরই তাদেরকে পুশব্যাক করেছে।

এর আগে শনিবার থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন এলাকার এক সেনাচৌকিতে হামলা করে স্থানীয় সশস্ত্র একটি সংগঠন। এ হামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক লেফটেন্যান্ট কর্নেলসহ ১০ জন সেনা নিহত হয়। ওই হামলার জবাবে শনিবার মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের মুত্রো জেলায় বিমান হামলা চালায় সেনাবাহিনী। হামলা থেকে বাঁচতে মুত্রো জেলার তিন হাজার বাসিন্দা সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিতে পালিয়েছেন বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে কারেন উইমেন্স অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এই মুহূর্তে তিন হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে জঙ্গলে দিন কাটাচ্ছে। তারা সীমান্ত অতিক্রম করে শরণার্থী হিসেবে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিতে চায়।তবে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘দ্য কারেন ইনফরমেশন সেন্টার’ ও ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)’ দাবি করেছে, অন্তত ২০০৯ জন শরণার্থী সীমান্তবর্তী জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। থাই সীমান্তে ঢুকার পরপরই তাদের আবার মিয়ানমারে সীমায় ফিরে আসতে বাধ্য করেছে থাই বাহিনী।

এদিকে থাইল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সীমান্তে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সোমবার থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাও বলেছেন, সরকার মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। মিয়ানমারের জনগণের উপর যে সহিংসতা চালানো হচ্ছে তার পক্ষে হয়ত কাউকেই পাওয়া যাবে না।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *