এবার ভারতের চাষীদের পানি দেওয়া বন্ধ করলো ভুটান !!

একদিকে চীন। আরেকদিকে নেপাল। কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ বিরোধ তো আছেই। এ তালিকায় এবার যুক্ত হলো ভুটান। হঠাৎ করেই ভারতে পানি প্রবাহ আটকে দিয়েছে দেশটি। এতে বিপাকে পড়েছে আসামের ওই এলাকার চাষীরা। অঞ্চলটিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ।

জি নিউজের প্রতিবেদনের ভাষ্য, ‘দুই প্রতিবেশী দেশের উৎপাতে অতিষ্ঠ ভারত। চীন ও নেপাল, দুই দেশই ভারতীয় সীমান্তে একের পর এক বেআইনি কাজ করে চলেছে। চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। ওদিকে বিহারের লাগোয়া সীমান্তে নেপাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সাধারণ এক গ্রামবাসী। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও তিনজন। চীন ও নেপালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার উৎপাত করে চলেছে ভুটান। তবে চীন ও নেপালের সঙ্গে ভারতের বিবাদের মাঝে ভুটানের কাণ্ড তেমন একটা প্রকাশ পায়নি। কিন্তু আড়ালে-আবডালে তারাও এবার ভারতীয় চাষীদের জল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের বাকসা জেলা দিয়ে প্রবাহিত চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতীয় কৃষকরা চাষের জন্য পানি পেতো। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছিল ওই সেচ চ্যানেল। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ডং। আসামের বাকসা জেলার অন্তর্গত ২৬টি গ্রামের বহু কৃষক ওই চ্যানেলের পানির উপর নির্ভরশীল। ১৯৫৩ সাল থেকে ওই চ্যানেল দিয়ে ভুটান থেকে পানি প্রবাহিত হয়ে আসছিল। স্থানীয় চাষীরা এই পানি চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করেন।এবার ভুটান হঠাৎ করেই ওই চ্যানেলের প্রবাহ আটকে দিয়েছে। ফলে মহাসমস্যায় পড়েছেন বাকসা জেলার ২৬টি গ্রামের চাষীরা। চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভুটান সরকার অবশ্য কোনও কারণ উল্লেখ করেনি। কেন চ্যানেলের পানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে তা নিয়ে কর্মকর্তাদেরও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইতোমধ্যেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় চাষীদের। স্থানীয় কৃষকরা রাস্তায় নেমে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।বাকসা জেলার প্রশাসন ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিষয়টি নিয়ে আবেদন করেছে। কালিপুর, বোগাজুলি ও কালানদী অঞ্চলের ডং বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সমিতির ব্যানারে জেলার কৃষকরা নিজেদের ক্ষোভ ও দাবির কথা তুলে ধরেছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *