করোনার ওষুধ উদ্ভাবনে সফলতার দাবি চীনের !!

করোনাভা’ইরাসের ম’হামারি থামিয়ে দিতে সক্ষম একটি ওষুধ উদ্ভাবনের ঘোষণা দিয়েছে চীনের একটি গবেষণাগার।করোনা ভা’ইরাসের ওষুধের বিষয়ে চীনের বিখ্যাত পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমনটি দাবি করেছেন। গবেষকদের দাবি, করোনা ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীদের এই ওষুধ শুধু সারিয়ে তুলবে না পাশপাশি শরীরে স্বল্প সময়ের জন্য ভা’ইরাস প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

গত রবিবার বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সেল’-এ এই গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, এই ওষুধ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিরপেক্ষ এন্টিবডি তৈরি করে যা ভা’ইরাসের কোষকে প্রতিরোধ করে।বেইজিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জেনোমিকসের পরিচালক সান্নে জাই ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, প্রাণীর ওপর গবেষণায় ওষুধটির সফলতা প্রমাণ হয়েছে।

গত বছর চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভা’ইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ আ’ক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন লাখের বেশি মানুষের। ম’হামারির আকার নেওয়া ভা’ইরাসটির ওষুধ ও টিকা উদ্ভাবনে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। তবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ করোনার ভ্যাকসিন বানাতে পারলে তা হবে একটি আন্তর্জাতিক পণ্য। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ৭৩ তম অধিবেশনের শুরুর দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষেরা যেন ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত না হয়, বেইজিং তা নিশ্চিত করতে চায়।

পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জেনোমিকসের পরিচালক সান্নে জাই বলেন, ‘আমরা সংক্রমিত ইঁদুরের শরীরে নিষ্ক্রিয় অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করেছিলাম। এর পাঁচদিন পর দেখা যায় ইঁদুরটির শরীরে ভা’ইরাস লোড আড়াই হাজার ফ্যাক্টরে কমে এসেছে। এর অর্থ হলো এই ওষুধটির সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো এই নিষ্ক্রিয় অ্যান্টিবডিগুলো একটি বিশেষায়িত ওষুধে পরিণত হতে পারে; যা ম’হামামি থামাতে পারবে।’ নতুন উদ্ভাবিত ওষুধটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পরিকল্পনা চলছে বলে জানান সান্নে জাই। চীনে আ’ক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এই পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানান তিনি।

গত সপ্তাহে চীনের এক কর্মকর্তা জানান, তাদেরর উদ্ভাবিত করোনাভা’ইরাসের সম্ভাব্য পাঁচটি টিকা মানুষের ওপর পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভা’ইরাসটির টিকা উদ্ভাবনে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

ওষুধ হিসেবে অ্যান্টিবডির ব্যবহার নতুন নয়। এইচআইভি, ইবোলা এবং মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (মার্স) মতো বেশ কিছু ভা’ইরাসের চিকিৎসায় এটি সফলতা পেয়েছে। সান্নে জাই জানান, চীনে করোনাভা’ইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এবং অন্য দেশগুলোতে তা ছড়ানোর আগেই ওই ওষুধ তৈরির গবেষণা শুরু করেন তারা।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *