করোনার ছুটি- দিনে,দুপুরে ট্রেনের ১১ হাজার লিটার তেল চুরি !!
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/bn.ekusherbangladesh.com.bd/public_html/wp-content/plugins/one-user-avatar/includes/class-wp-user-avatar-functions.php on line 798

প্রা’ণঘা’তী করোনা ভা’ইরাস সংক্রমণের মধ্যে ছুটিতে থাকা রাজশাহী রেলস্টেশনে ট্রেনের লরি থেকে প্রায় ১১ হাজার লিটার তেল চুরি করা হয়েছে। তেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে জিআরপি থানা পুলিশ।
ওই ঘটনায় রাজশাহী রেলওয়ের এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তেল পাম্পে এই চুরির ঘটনা ঘটে।আটক তিনজন হলেন- যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিপো ইনচার্জ আমজাদ হোসেন, যে ট্যাংকার ট্রাকে তেল ঢোকানো হচ্ছিল তার হেলপার ইলিয়াস হোসেন এবং যমুনা অয়েলের কর্মচারী মুকুল আলী।
এই বিষয়টি নিশ্চিত করে পশ্চিম রেলওয়ের চিফ ইলেট্রিক ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান জানান, তেল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হাসানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মী সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বেশ কয়েক ট্রাক তেল চুরি করা হয়। সর্বশেষ গতকাল দুপুরে এক ট্রাক তেল চুরির সময় বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা ওই ট্রাকটি ধরে ফেলেন। তবে ট্রাকচালক পালালেও ধরা পড়েন চালকের সহকারী।
রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা ট্রাকটি জব্দ করেছেন। একই সঙ্গে তেল চুরিতে ব্যবহার করা মেশিনগুলো জব্দ করা হয়। রাজশাহী আরবিআর-এর পরিদর্শক আহসান হাবিব বলেন, ডিপোতে তেল চুরি করে ট্যাংকার ট্রাকে ঢোকানো হচ্ছিল। তখন খবর পেয়ে তারা তিনজনকে আটক করেন।
তিনি জানান, গত ২০ এপ্রিল ঈশ্বরদী থেকে ৩০ হাজার লিটার সরকারি তেল রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অবহেলায় এই তেলই চুরি হচ্ছিল। চুরির সময় পাঁচ হাজার লিটার তেল তারা জব্দ করেছেন। ট্যাংকার ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। আগে কী পরিমাণ তেল চুরি হয়েছে তা তদন্তের পরই বলা যাবে। চুরির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এদিকে ঘটনার পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক এ ঘটনার তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছেন। এ তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিইই) রিফাত সাকিল রুম্পা ও কমান্ড্যান্ট আরএনবি (পাকশী) রেজওয়ানুর রহমান।
জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তদন্ত এ কমিটির সদস্য ডিসিও ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বলেন, এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া হবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। সম্ভব হলে তিনদিনের আগেই রিপোর্ট দেওয়া হবে।