করোনায় আ’ক্রান্ত নারী গার্মেন্টকর্মী পলাতক !!
ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাব থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসা জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গার্মেন্টকর্মী এক নারী উধাও হয়েছেন। জেলায় নতুন করে করোনায় আ’ক্রান্ত চার ব্যক্তির মধ্যে তিনিও একজন। আ’ক্রান্ত বাকি তিন ব্যক্তির মধ্যে এক নারীর বাড়ি জামালপুর সদরে এবং দুই ব্যক্তির বাড়ি সরিষাবাড়ী উপজেলায়। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনার রোগী শনাক্ত হলো ৬৫ জন।
ইসলামপুরের ওই নারী গার্মেন্টকর্মী উধাও হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা ও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বেশ উদ্বেগে রয়েছেন। করোনাঝুঁকির হটস্পটে পরিণত হতে শুরু করায় স্থানীয় ১৬টি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বৃহস্পতিবার রাত থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছেন সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের করোনা পিসিআর ল্যাব থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দুই দফায় আসা ৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে চারজনের করোনা পজেটিভ আসে। বাকি ৭৯ জনের নমুনায় করোনা নেগেটিভ আসে। নতুন করে আ’ক্রান্ত চারজনের মধ্যে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ধানাটা গ্রামের ২৫ থেকে ২৬ বছর বয়সের দুই ব্যক্তি, যাদের মধ্যে একজন সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন মাতৃছায়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিক এবং আরেকজন বিসমিল্লাহ ঔষধ বিতানের কর্মী।
এছাড়া জামালপুর শহরের খামাবাড়ি এলাকায় একজন গৃহিনী (২৮) এবং ইসলামপুর উপজেলার উত্তর দরিয়াবাদ গ্রামের ঢাকাফেরত এক নারী গার্মেন্টকর্মীর (৩০) করোনা শনাক্ত হয়েছে।বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়া নতুন চারজনের মধ্যে ইসলামপুরের গার্মেন্টকর্মী ব্যতীত বাকি তিনজন নিজ নিজ বাড়িতে রয়েছেন এবং উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে করোনা শনাক্ত হওয়া ওই গার্মেন্টকর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের কাউকে খুঁজে পাননি।
সূত্র আরো জানায়, করোনার উপসর্গ থাকায় গত মঙ্গলবার ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা সংগ্রহের দিন ওই নারী যে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছিলেন সেই ফোন নম্বরটি সচল থাকলেও যারা ফোন ধরছেন তারাও ওই নারী সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না।আদৌ তিনি ঢাকায় নাকি নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টে কাজ করেন তা নিয়েও ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। করোনায় আ’ক্রান্ত অবস্থায় ওই নারী এলাকা ছেড়ে উধাও হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এ নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।