করোনায় গণপরিবহন চালানোর ক্ষেত্রে যে ১৫ শর্ত মানার নির্দেশ !!
আগামী ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গণপরিবহনে ৩০ শতাংশ সিট খালি রাখাসহ ১৫ নির্দেশনা মেনে গণপরিবহন চালানোর কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার করোনারোধ মার্চের প্রথম সপ্তাহে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভা’ইরাসে মৃত্যু ও আ’ক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়লেও সার্বিক দিক বিবেচনা করে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে বিশেষজ্ঞ, টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সাধারণ ছুটি না বাড়ানো ও গণপরিবহন শর্তসাপেক্ষে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লাখ লাখ শ্রমিক ও মালিকের সঙ্গে পরিবহনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনা একজন মানবিক মানুষ, তার মানবিকতা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা অসীম।’
সেই ১৫ নির্দেশনা হল-
১. স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, শারীরিক দূরত্ব কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।২. বাস টার্মিনালে কখনোই ভিড় করা যাবে না।৩. তিন ফুট দূরত্বে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা উঠবেন।৪. স্টেশনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।৫. বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না।
৬. বাসের সব সিটে যাত্রী নেয়া যাবে না।৭. ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সিট খালি রেখে যেতে হবে।৮. যাত্রীর পরিবারের সদস্য হলে পাশের সিটে বসানো যাবে, অন্যথায় নয়।৯. যাত্রী, বাস কন্ডাক্টর, চালক সবার মাস্ক বাধ্যতামূলক।১০. স্টেশন থেকে গাড়ি বাধ্যতামূলকভাবে সব দিকে ভালোভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।১১. যাত্রীদের ওঠা নামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
১২. চালক এবং কন্ডাক্টরদের ডিউটি একটানা দেয়া যাবে না। তাদের নির্দিষ্ট দিন বা পরের দিন রেস্ট দিতে হবে।১৩. লংরুটে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চা বিরতি থেকে বিরত থাকলে ভালো।১৪. করোনাভা’ইরাসের সংক্রামণ কোথা থেকে হবে তা কেউ বলতে পারে না। তাই যাত্রীদের মালামাল ও হাত ব্যাগে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।১৫. ভাড়া নির্ধারণের জন্য বিআরটিএর যে কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে যুক্তিসঙ্গত ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।