করোনায় চিকিৎসায় কয়েকটি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতির কথা বললেন ড. বিজন !!

প্রাণঘা’তী করোনাভা’ইরাস থেকে রক্ষা পেতে কিছু পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র‌্যাপিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান বিজ্ঞানী। ছাগলের মড়ক ঠে’কানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন, ডেঙ্গুর কুইক টেস্ট পদ্ধতি, সার্স ভা’ইরাসের কুইক টেস্ট পদ্ধতিও আবিষ্কার করেছিলেন ড. বিজন কুমার শীল। সার্স ভা’ইরাস প্র’তিরোধে সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। করোনা থেকে বাঁচতে তিনি কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো:

প্রথমত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি বিধান মেনে চলতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার পেয়ারা, লেবু, আমলকি অথবা ভিটামিন ‘সি’ ট্যাবলেট খেতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে একটি জিঙ্ক ট্যাবলেট খাবেন। ভিটামিন ‘সি’ এবং জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতেজ, সজীব রাখে এবং প্র’তিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

আ’ক্রা’ন্ত হলে গলাব্যথা, শুকনো কফ ছাড়া কাশি কাশি হবে কিন্তু কফ বের হবে না। এটা করোনা আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার প্রথম লক্ষণ। অন্য ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আ’ক্রান্তদের হাঁচি, সর্দি ও নাক দিয়ে পানি পড়ে। তবে করোনা শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়।এক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে হালকা রং চা বারবার পান করা, গরম পানি দিয়ে গারগেল করা। এর চেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে আদা, লবঙ্গ ও একটা গোলমরিচ পানি মিশিয়ে গরম করে তার সঙ্গে সামান্য মধু বা চিনি দিয়ে চায়ের সঙ্গে পান করা কিংবা অথবা গারগেল করা।

এর ফলে গলায় যে ভা’ইরাসগুলো থাকে সেগুলো মা’রা যায়। এছাড়াও গলায় গরম লাগার ফলে র’ক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্র’তিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। রং চায়ের মধ্যে এন্টিসেপ্টিক গুনাগুণও রয়েছে। বারবার শুকনো কাশির ফলে গলার টিস্যু ফেটে যেতে পারে। চা এই ইনফেকশন রো’ধ করে।জ্বর হোক বা না হোক এই মুহূর্তে সবার উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুরে এবং সন্ধ্যায় গারগেল করা। এর ফলে শরীরে যদি ভা’ইরাস ঢোকেও তাহলে সেটা আর বাড়তে পারবে না। এটা শুধু করোনা না আরও অনেক ইনফেকশনকে রো’ধ করতে পারে। কেউ যদি এটা প্রতিদিন করতে পারে, তাহলে তার আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

পেটের সমস্যা দেখা দিলে নিমপাতা বেটে সবুজ রসের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে খেলে তার পেটের ইনফেকশন কমে যাবে। এ সময় এমন রোগীকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে অনেক সমস্যা হয়।করোনা শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই আ’ক্রমণ করে না। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে শরীরের মধ্যে বাড়তে থাকে। বাইরে যারা এখনো কাজ করতে বাধ্য তারা বাসায় ফিরে গরম পানি পান করতে পারেন। হালকা রং চা পান করা যেতে পারে। নাক ও মুখ দিয়ে গরম পানির ভাপ নেওয়া, পানির মধ্যে এক ফোঁটা মেন্থল দিলে আরও ভালো হয়। সূত্র: বাংলানিউজ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *