করোনা সন্দেহে বন্দি, অতঃপর এই সুযোগে তরুণ-তরুণী’র এ কেমন কান্ড !!

যুগ যুগ ধরে এ কথা সবারই জানা, প্রেমে পড়লে মানুষ দুঃসাহসী হয়ে ওঠে, উপেক্ষা করতে পারে সব বাধা। ভালোবাসার সম্মোহনী শক্তি সব প্রতিকূলতাকেই হার মানায়। কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না ভালোবাসার মাঝে।

এদিকে, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চীন থেকে এই ভাইরাসের জন্ম। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে এই ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া তার নিজেদের নাগরিকদের চীন থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। এসময় ১৪০ জন চীনা নাগরিক সাইবেরিয়ার থাইমিস শহরের একটি কোয়ারান্টাইনে ক্লিনিকে পালিয়ে যান। পরে দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে দেয়। অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ।

যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সবাই সবার সঙ্গে যোগযোগ করতে থাকে। তবে ইন্না সাভিন্টসেভা (১৮) এবং ড্যানিল পারফেনোভিচ (১৮) একে অপরের সঙ্গে একটি নতুন সংযোগ খুঁজে পান। সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত সাভিন্টসেভা চীনে ছিলেন এবং সেখানে ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা কলেছিলেন ড্যানিল। তারা দু’জনই কোয়ারান্টাইনে থেকেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। শুরু করেন প্রেম। তারা দুইজনই চীনা নাগরিক। তাদেরকে থাইমিস শহরের একটি কোয়ারান্টাইন ক্লিনিকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

ড্যানিল পারফেনোভিচ বলেন, সে (সাভিন্টসেভা) আমার সঙ্গে মিউজিক নিয়ে কথা বলতো। আমি তার সঙ্গে কথা বলতাম জীবনের সুন্দর সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে। এরপর আমরার যখন দেখা করি তখন আমাদের চোখজোড়া ছল ছল করতে থাকে। একে অপরকে দেখে হার্ট বিট বাড়তে থাকে। তিনি বলেন, দেখা করাতে বাধা দেননি চিকিৎসকরা।ড্যানিল বলেন, আমরা ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে এক সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এটি হয়নি। তবে আমরা সবকিছুর জন্য খুশি।

উল্লেখ্য, রাশিয়ায় মাত্র দু’জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তারা দুই জনই সুস্থ হয়ে পড়েছেন। আর ইন্না সাভিন্টসেভা এবং ড্যানিল পারফেনোভিচকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হলেও দু’জনের শরীরেই করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। ড্যানিল পারফেনোভিচকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সাভিন্টসেভাকে এখনো কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *