কিফায়েতুল্লাহ আল-আজহারী মোদিকে যে হুঁশিয়ারি দিলেন !!

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কিশোরগঞ্জ আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ও ইমাম-উলামা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হলো দু’দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন। প্রতিদিন বাদ আছর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলনে দু’দিনেই সভাপতিত্ব করেন, কিশোরগঞ্জ আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও মহা-পরিচালক হযরত মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ। এই সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলনে সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের হ’ত্যা-নির্যাতন, মসজিদ ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানান আগত বক্তারা।

শুক্রবার রাতে দু’দিনব্যাপী সিরাতুন্নবী সা.সম্মেলনের প্রথমদিনের বয়ানে মুফতি মাও. কিফায়েতুল্লাহ আল-আজহারী বলেন, বাংলাদেশে মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। মোদির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গুজরাট, কাশ্মীর, দিল্লীসহ অনেক রাজ্য মুসলমানদের খুন করা হচ্ছে। ভারতের মুসলমানদের উপর চরম নি’র্যাতন নি’পীড়ন চালানো হচ্ছে। তাই যার হাতে মুসলিম গ’ণহ’ত্যার দাগ লেগে আছে তাকে সা’ম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিবে না। অবিলম্বে মোদির রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ বাতিল করা হোক। সফর বাতিল না করলে তৌহিদী জনতার রক্তের লাল গালিচা বিচানো হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের উপর যেভাবে জু’লুম নি’র্যাতন চালাচ্ছে তা পরিস্কার রাষ্ট্রীয় নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। অথচ দিল্লীর মুসলমানরাই শত বছর সারা ভারত শাসন করেছে। মুসলমানদের শাসনকালে অন্য কোন ধমার্বলম্বীদেরকে আঘাত করা হয়নি। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে মুসলমানদের হ’ত্যা ও নি’যার্তন বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করার আহবান জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কওমী মাদরাসাগুলোকে সরকারী স্বীকৃতি দিয়ে কওমী জননীর উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তাই আপনাকে উলামায়ে কেরামগণ শ্রদ্ধার সাথে অভিনন্দন জানিয়েছে।

তিনি কাদিয়ানীদেরকে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানান। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার সাদিয়ানীদের ইজতেমা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উক্ত সম্মেলনে সকল বক্তার আলোচনায় ছিলো সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের হ’ত্যা-নি’র্যাতন, ম’সজিদ ভাঙচুর ও আ’গুন লাগানোর ঘটনার ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া।

উক্ত সম্মেলনে প্রথমদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি উপস্থিত থেকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন, মুফতী নজরুল ইসলাম কাসেমী, ঢাকা উত্তরা রাজলক্ষী মসজিদুত ত্বাকওয়ার খতিব ও জামিয়াতুল মানহাল আল-কাওমিয়া মাদ্রাসার পরিচালক শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আল-আযহারী, কিশোরগঞ্জ আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও কিশোরগঞ্জ ইমাম-উলামা পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী, মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা ইমদাদুল্লাহ প্রমুখ।

২য় দিন ২৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন, ঢাকা যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার মহা-পরিচালক হযরত আল্লাম মাহমুদুল হাসান, বিশিষ্ট লেখক ও ইসলামী টাইম অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক হযরত মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কলামিষ্ট ও ঢাকা মোহাম্মাদী হাউজিং সোসাইটি জামে মসজিদের খতিব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী হাফিজাহুল্লাহ, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত কোরআন আলোচক ক্বারী আব্দুল ওয়াদুদ হাফিজাহুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস শামছুল ইসলাম প্রমুখ। সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার উলামায়ে কেরামগণ, ইমামগণসহ হাজার হাজার তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *