কুমিল্লায় পুলিশের মানবিকতা সর্বত্রই প্রশংসিত !!

কুমিল্লায় পুলিশের মানবিক কর্মকাণ্ড এখন জেলার সর্বত্রই প্রশংসিত হচ্ছে। ম’হামারী করোনাভা’ইরাসে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বিপন্ন জনসাধারণকে সেবা প্রদান করে জেলার বাসিন্দাদের কাছে আস্থা অর্জন করেছে পুলিশ।করোনায় আ’ক্রান্তদের হোম আইসোলেশন, লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা, নিজস্ব অর্থায়নে অসহায়দের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রিতে সহায়তা করেছে পুলিশ বাহিনী। আর জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিটকে জনসেবায় নিয়োজিত রেখেছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।

তিনি নিজেই প্রতিনিয়ত ছুটছেন জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। এতে জেলার বাসিন্দাদের কাছে পুলিশ সুপারের মানবিকতা প্রশংসিত হচ্ছে এবং পুলিশ সদস্যদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।জানা যায়, ম’হামারী করোনাভা’ইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই কুমিল্লা জেলা পুলিশ সদস্যরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

নিজেদের বেতনের টাকা দিয়ে জেলার কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র দুই হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান, নিজস্ব অর্থায়নে ন্যায্যমূল্যে পণ বিক্রি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, পুলিশ সুপারের রচিত গান পরিবেশন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিল্পীদের মাধ্যমে রোড শো করে জেলার বাসিন্দাদের সচেতন করা, প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করা, করোনায় আ’ক্রান্তদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া, বরেন্দ্র এবং হাওরাঞ্চলে ধানকাটার জন্য শ্রমিক পাঠানো, কুমিল্লায় আটকেপড়া অসহায় শ্রমিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান, রিকশা-ইজিবাইক এবং সিএনজি চালকদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান, করোনায় মৃতদেহ দাফন করা, জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে পথে ও প্রান্তরে থেকে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করায় কুমিল্লা জেলা পুলিশ এখন এ জেলার বাসিন্দাদের নিকট প্রকৃত সেবকে পরিণত হয়েছে।

উপরোল্লিখিত সব কর্মকাণ্ডই জেলা পুলিশ তাদের বেতনের অর্থ দিয়ে পরিচালনা করেছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।একটা সময় ছিল মানুষ শুধু মুখে মুখে নয়, প্রকাশ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে পুলিশের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করত। কিন্তু দিন এখন বদলে গেছে, করোনা দুর্যোগে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করে এ জেলার পুলিশ এখন জনসেবার মডেল।এদিকে এ জেলা পুলিশের সব সদস্য দায়িত্বে ঊর্ধ্বে উঠে এমন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি জেলার চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখছেন। এতে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপির মানবিক নির্দেশনা পালন করে আমরা সর্বদা জনসাধারণের পাশে রয়েছি। এ ছাড়া করোনার এমন পরিস্থিতিতে মানবিকতা আমাকে বসে থাকতে দেয় না। মানবিক মূল্যবোধ দেশপ্রেম, মানবপ্রেম সার্বক্ষণিকভাবে আমাকে তাড়া করে, তাই আমি অবিরাম ছুটে চলছি মানব সেবায়।

তিনি বলেন, করোনায় মানুষের সেবা প্রদান করতে গিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তাতেও আমরা থেমে নেই, জীবনের শেষ বিন্দু সময় পর্যন্ত দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের বিলিয়ে দেব।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *