কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে পেতে সব সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি এক দম্পতি !!

রংপুর মহানগরীর হাজিরহাট এলাকার হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে দত্তক নিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্তানহীন এক দম্পতি। শিশুটিকে পেতে নিজেদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি লিখে দিতেও তাদের আপত্তি নেই।

রোববার সন্ধ্যায় নবজাতকটির দত্তক চেয়ে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ এ আবেদন করেন তারাগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান।

এর আগে রোববার দুপুরে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের হাজিরহাট হজ প্রশিণ কেন্দ্রের সামনে থেকে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটিকে হাজিরহাট থানায় পুলিশের হেফাজতে দেন স্থানীয় এক বৃদ্ধ। নবজাতককে থানায় নেওয়া হলে অনেকেই দেখার জন্য ভিড় জমায়।

পরে নবজাতকটির সুচিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে কিছুটা সুস্থ হলে শিশুটিকে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিেেষ্ট্রট আদালত-১ এ পাঠানো হয়। আদালত চত্বরে অনেকেই শিশুটিকে দেখার জন্য ভিড় করেন। এসময় এ নবজাতককে দত্তক চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান।

রাতে আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম নবজাতককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সুচিকিৎসার জন্য ভর্তির নির্দেশ দেন। দত্তক নেওয়ার আবেদনের শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও সমাজসেবা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এব্যাপারে হাজিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের বয়স অনুমানিক দুই তিন হবে। এ ফুটফুটে নবজাতককে রাস্তার পাশে এভাবে ফেলে রাখা হলো, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এদিকে নবজাতককে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশকারী কামরুজ্জামান জানান, তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই। দীর্ঘ সতের বছর ধরে অনেক চিকিৎসা করেও কোন সুফল পাননি। তাই কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে দত্তক চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি। নবজাতককে পেতে নিজের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি লিখে দিতেও তার কোন আপত্তি নেই বলেও জানান।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *