খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করতো বাবা!

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেফতার করেছে সালথা পুলিশ।

শুক্রবার রাতে উপজেলার বল্লভাদি ইউনিয়নে এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরিবার এবং সালথা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মোট তিনবার বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে দুই কন্যার জন্ম হয়। অভিযুক্ত স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। এরই মধ্যে যখন বড় মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়, তখন দুই মেয়ে তাদের দাদার বাড়িতে চলে যায়। কিছুদিন পর, ছোট মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে আসে। বড় মেয়ে (১৯) ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। তারপর থেকে ছোট বোন বাড়িতে একা থাকে।

অভিযোগ অনুযায়ী, ৩০ জুলাই রাত ১১ টার দিকে অভিযুক্ত শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে বিভিন্ন সময়ে চা ও খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

মেয়েটিকে বিষপান করা হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং লোকটি পালিয়ে যায়। পরে, মেয়েটি তার বড় বোন এবং মায়ের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে যায়।

মেয়েটির মা সালথা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সালথা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো। আসিকুজ্জামান বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *