গত ১০ বছরে ঢাকায় আসা মানুষের মধ্যে শীর্ষে বরিশাল, এর পরে রয়েছে…

এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় গত ১০ বছরে বরিশাল থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ এসেছে। এরপর রয়েছে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ভোলা এবং সবচেয়ে কম মানুষ এসেছে শরীয়তপুর থেকে।গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘এ গ্রামপেস টু লিভস অব দ্য পিপল ইন ঢাকা সিটি’ শীর্ষক এক গবেষণায় এ বিষয়টি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।বিআইডিএসের গবেষক জুলফিকার আলী এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৫ বছরের হিসেবে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকায় এসেছে কিশোরগঞ্জ থেকে। এরপর রয়েছে বরিশাল, ময়মনসিংহ, ভোলা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, রংপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী। আর সবচেয়ে কম মানুষ টাঙ্গাইল থেকে এসেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ১০ শতাংশ বড়লোকের হাতে মোট আয়ের ৪১.১৯ শতাংশ। এছাড়া সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ গরীব মানুষের হাতে মাত্র ০.৯৬ শতাংশ ও ৫০ শতাংশ মানুষের হাতে ১৭.৯৮ শতাংশ আয়। ফলে আয় বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে।

অপর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকায় বছরে যেসব মানুষ মারা যায় তার মধ্যে বায়ুদূষণ জনিত অসংক্রামক রোগে মারা যাচ্ছে ১০.৮ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে শ্বাসকষ্টে মারা যায় ৮ শতাংশ, কিডনি রোগে ২.৩ শতাংশ এবং ফুসফুসের রোগে মারা যাচ্ছে ০.৫ শতাংশ মানুষ।

‘এ্যাটমোসফেয়ারিক পারটিক্যুলেট ম্যাটার অ্যান্ড ব্লাক কার্বন ইন ঢাকা সিটি এ কান্ট্রিবিউটর টু ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন গবেষক মিথিলা পারভীন।

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বর্তমানে বায়ুতে ব্লাক কার্বনের উপস্থিতি রয়েছে ৬৫ মাইক্রো গ্রাম কিউবিক মিটার। কিন্তু সহনীয় মাত্রার ব্লাক কার্বন থাকা প্রয়োজন ২৫ মাইক্রো গ্রাম কিউবিক মিটার।’বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রত্যাশিত গড় আয়ু থেকে ২২ মাসের বেশি কমে যাচ্ছে বলেও জানান এই গবেষক।

বিআইডিএসের বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনের সমাপণী দিনে বিভিন্ন বিষয়ে ৬টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর আরবান স্ট্রাডিজির চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *