গোপনে শুকানো হচ্ছে পচা পেঁয়াজ, মালিক কে বলছেন না কেউ !!

পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা কমছে না। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিম্ন আয়ের অনেকেই পেঁয়াজ না কিনেই ফিরছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গোপনে শুকানো হচ্ছে পচা পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ বেশি লাভের আশায় গুদামজাত করে রেখেছিল কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

দীর্ঘদিন বস্তাবন্দী থাকায় পচন ধরেছে পেঁয়াজে। সে কারণে মাটিতে বস্তা বিছিয়ে পচা পেঁয়াজ রোদে শুকিয়ে সেখানে থেকে ভালোগুলো বেছে বের করছেন তারা। এসব আংশিক পচা পেঁয়াজ বাজারে ১০০ টাকার উপরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজ শুকানোর কাজটি করা হচ্ছে অনেকটা গোপনে। তবে অনেকেই গলিতে ভ্যানের উপরে বা ফাঁকা রাস্তায় শ্রমিক দিয়ে বাছাই করছেন পেঁয়াজ। কারা এমন মণকে মণ পেঁয়াজ বস্তায় ভরে রেখেছিল সে বিষয়ে কথা বলতে চান না কেউই।

গতকাল শনিবার মিরপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুরসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে পেঁয়াজ শুকানোর এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ফাঁকা জায়গায় কমপক্ষে ৫০ মণ পচা পেঁয়াজ শুকানোর দৃশ্য দেখে যায়। পচা পেঁয়াজগুলো বার বার উল্টিয়ে দিচ্ছিলেন দুজন শ্রমিক। তাদের কাছে গিয়ে পেঁয়াজের মালিক সম্পর্কে জানতে চাইলে শহীদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘পেঁয়াজের মালিক কে আমরা জানি না। একজন পচা পেঁয়াজগুলো রোদে শুকাইয়ে বাছাই করতে আমাদের কামলা নিছে।’

কে আপনাদের এই পেঁয়াজ শুকাতে কাজে নিয়েছে জানতে চাইলে ওই শ্রমিক বলেন, ‘আমি বলতে পারমু না।’

মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি গলির মধ্যে ভ্যানের মধ্যে পঁচা পেঁয়াজ শুকানোর দৃশ্য দেখা যায়। পরে এসব পেঁয়াজের মালিক কে জানতে চাইলে পাশেপাশে থাকা দোকানিরা কেউই জানেন না বলে জানায়।

এভাবেই শুকানো হচ্ছে পচা পেঁয়াজ। ছবি : আমাদের সময়

স্থানীয় বেশ কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ভালো পেঁয়াজের পাশাপাশি পচা থেকে বাছাই করা আংশিক পচা পেঁয়াজও দোকানে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা। একটু অল্প দাম হওয়ায় অনেক সাধারণ মানুষই এসব আংশিক পচা পেঁয়াজ থেকে বেছে বেছে কিনছেন।

এসব পঁচা পেঁয়াজ কোথা থেকে কিনে বিক্রি করছেন জানতে চাইলে, এক খুচরা বিক্রেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘সব আড়তেই ভালোভাবে খুঁজলে এমন পচা পেঁয়াজের বস্তা পাওয়া যায়। পাইকারী ব্যবসায়ীরা অনেক বস্তুা লুকাইয়ে রাখছিল। বেশি লাভের আশায়।এখন সব পচে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অল্প দামে কিনে অল্প দামেই বেচি। লাভ কম। কিন্তু বড় ব্যবসায়ীদের কোনো লস নাই। যেগুলো পচে যায়, সেগুলোও তারা লাভেই বেচেন।’

সূত্রঃ আমাদের সময়

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *