ঘরে তালা দিয়ে মসজিদে গেলেন স্বামী, পুড়ে ছাই হলো স্ত্রী !!

গার্মেন্টসকর্মী সুমন মিয়া সন্ধ্যায় তার স্ত্রী সম্পা আক্তারকে (২২) ঘরে রেখে বাহির থেকে তালা মেরে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। ফিরে এসে দেখেন পুরো বাড়িতে আগুন জ্বলছে। ঘর তালাবদ্ধ থাকায় ভেতর থেকে বের হতে পারেননি সম্পা। স্ত্রীকে বাঁচাতে ঘরের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করেও আগুনের তাপে যেতে পারেননি সুমন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ভেতরে থাকা সম্পার অঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার ইলিয়াস সরদারের ভাড়া দেয়া বাড়িতে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে সম্পা আক্তার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যান।

নিহতের সম্পার স্বামী সুমন মিয়া বলেন, তাদের সংসার খুব ভালোভাবে চলছিল। দুইজনে একটি পোশাক কারখানা চাকরি করে সুন্দরভাবে চলছিল। শুক্রবার কারখানা বন্ধ ছিল। আমরা দুইজনই বাসায় ছিলাম। সন্ধায় নামাজ পড়ার জন্য ঘর থেকে বের হবো এমন সময় স্ত্রী আমাকে বলে, ‘আমি একটু ঘুমাবো বাহির থেকে তালা মেরে যাও।’ তার কথা মত বাহির থেকে তালা মেরে নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। নামাজ শেষ করে এসে দেখি বাড়িতে আগুনে জ্বলছে। ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আগুনের তাপে সামনে যেতে পারছিলাম না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরো বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার চোখের সামনে আগুন জ্বলেছে, কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারলাম না।

নিহত সম্পা আক্তার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার পলমা গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী এবং জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার ফৈটামারী এলাকার সোহরাব হোসেনের মেয়ে। গত ৭/৮ মাস আগে পারিবারিকভাবে সুমন ও সম্পার বিয়ে হয়। তারা ফতুল্লার শাসনগাও এলাকার ক্রনী গ্রুপের অবন্তি কালার নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *