ঘূর্ণিঝড় বুলবুলঃ উড়ে গেল মাদরাসার টিনের চাল, তবুও থামল না এতিমদের কোরআন তিলাওয়াত !!

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারনে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি গ্রামে অবস্থিত ফরমান আলি হাফিজিয়া মাদরাসার টিন উড়ে গেছে। তবে মাদরাসায় থাকা ২০ জন শিক্ষার্থী তাদের সুমধুর কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই বিষয়ে পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা খানম বলেন, বুলবুলের আঘাতে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছে কয়েক হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন পথে বসেছে অনেকেই। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নিম্ন পরিবারের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। কেউবা কুপির আলোয় আবার কেউবা মোমবাতির আলোতে রাতের কাজকর্ম সারছেন। পার্শ্ববর্তী মাদরাসার ছাত্ররা কুপির আলোতে কোরআন তেলোওয়াত করছে।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সন্তোষ কুমার সাহা বলেন, এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। দুর্যোগের পরে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। যেসব স্থানে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যেই চালু করা হবে।

উল্লেখ্য, অতীতে নভেম্বর মাসেই দুটি প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনে বিপর্যস্ত করে যায় বাংলাদেশকে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াল ‘ভোলা ঝড়’ এবং ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর এমনই শক্তিশালী দুটি ঘূর্ণিঝড় ছিল। ভোলা ঝড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং সিডরে প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *