চমক দিয়ে ফিরেই সবার রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন কিম !!

৯০ কেজি মল। রোজ। একজন মানুষের পক্ষে কি সেটা সম্ভব! একজন মানুষ কেন, গোটা পরিবারের সব সদস্যরা মিলেও কি রোজ ৯০ কেজি মল ত্যাগ করেন! এক মাসেও হয়তো সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারের নির্দেশ, দেশের প্রতিটি নাগরিককে রোজ ৯০ কেজি মল সরবরাহ করতে হবে। কিম জং উনের দেওয়া এই আজব নির্দেশ পালন না করলে শাস্তি ভো’গ করতে হবে! কী সেই শাস্তি! সেটিও অদ্ভুত। ৯০ কেজির সঙ্গে আরও বাড়তি ৩০০ কেজি মল সরবরাহ করতে হবে। আর সেটা করতে না পারলে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা দিতে হবে। স্বৈরাচারি শাসক হিসাবে এমনিতেই কু’খ্যাত কিম জং। উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের উপর এর আগেও তিনি বহুবার এমন অদ্ভুত সব নির্দেশ দিয়েছেন।

কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত নির্দেশ দিলেন কিম? উত্তর কোরিয়ায় সারের সঙ্ক’ট বহুদিনের। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কিমের বাবা সংঘা’তের জন্যই উত্তর কোরিয়ায় এই সার সঙ্ক’ট। কিন্তু কিম এবার রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সারের জোগান বাড়াতে চান। আর তাই এমন সিদ্ধান্ত। যদিও পশু, পাখির মল সরবরাহ করলেও চলবে। কিন্তু যেভাবেই হোক, প্রতিটি নাগরিককে রোজ ৯০ কেজি মল সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি নাগরিককেই এবার সকাল সকাল মল খুঁ’জতে বেরোতে হবে। এবং সেই মল সংগ্রহ করে রাখতে হবে। ভাবুন একবার কী কা’ণ্ড!

উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সানচনে একটি সার কারখানা উদ্বোধন করেছেন কিম। এই কারখানা নিয়ে নাকি আবেগপ্রবণ কিম। তিনি বলেছেন, তাঁর ঠাকুরদা কিং ইল সাং ও বাবা দ্বিতীয় কিং জং বেঁচে থাকলে এই সার কারখানার উদ্বোধন দেখে প্রচ’ণ্ড খুশি হতেন। কিম জং আর স্বৈরাচার দুটি যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেই জ’ল্পনা ছিল, কিম নাকি আর বেঁ’চে নেই। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি আবার ফিরেছেন স্বমহিমায়। আর ফিরেই উত্তর কোরিয়ার মানুষের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *