‘চাকরি গেলে যাবে’ বলেই ছাত্রীর বুকে শিক্ষকের লাথি, এরপর…

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শিক্ষকের লাথির আ’ঘাতে শ্রেণিকক্ষেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এক শিক্ষার্থী। বুধবার পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ড চলাকালীন দশম শ্রেণিতে পাঠদানকালে শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোনো কারণ ছাড়াই টেবিলের ওপর উঠে শাহিনা আকতারের বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এতে শ্রেণিকক্ষেই জ্ঞা’ন হারিয়ে ফেলেন ওই ছাত্রী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ডে ১০ম শ্রেণিতে পাঠদানকালে বৌদ্ধধর্মীয় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোনো কারণ ছাড়াই টেবিলের ওপর উঠে এক ছাত্রীর বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এ সময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মে’রেই ফেলব।

এ সময় তার সহপাঠী শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন। ওই শিক্ষকের হাত থেকে আ’ক্রান্ত শিক্ষার্থীকে উ’দ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাইন্দং বাজারে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ত’দন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু ত’দন্তসাপেক্ষে অ’ভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আ’ওতায় আনারও দাবি জানান।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *