চীনের কাছে বিশ্ব কূটনীতিতে হেরে গেলো যুক্তরাষ্ট্র !!
বিশ্ব কূটনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে শীর্ষে উঠেছে চীন। বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের যতগুলো কূটনৈতিক মিশন আছে তার চেয়ে এখন বেশি আছে চীনের।বুধবার অস্ট্রেলিয়ার লোয়ি ইন্সটিটিউট এ বিষয়ে ‘গ্লোবাল ডিপ্লোমেসি ইনডেক্স’ নামে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
লোয়ি ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, এ বছর বিশ্বজুড়ে থাকা দূতাবাস ও অন্যান্য দফতর মিলিয়ে বেইজিংয়ের মিশনের সংখ্যা ২৭৬। এ সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৩টি বেশি। বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশের পরপরই ফ্রান্স, জাপান ও রাশিয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৬ সালের তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান ছিল নয়ে। দেশটি এবার আরও দুই ধাপ পিছিয়ে ১১ নম্বরে অবস্থান করছে।
লোয়ি ইনস্টিটিউট এ তালিকা করার সময় বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের পাশাপাশি তাদের কনসুলেটগুলোকেও স্থান দিয়েছে। থিঙ্কট্যাঙ্কটি বলছে, কূটনৈতিক মিশনের সংখ্যার মাধ্যমে মূলত ভূরাজনীতিতে বিভিন্ন দেশের ‘শক্তি ও দুর্বলতার’ ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতেই চীনের বাড়তি নজর দেয়ার চিত্র দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।২০১৬ সালেও মিশন সংখ্যায় দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের পেছনে ছিল। সেসময় দূতাবাস ও কনসুলেটসহ তাদের মিশন ছিল ২৬৭টি। ২০১৭ সালে চীন ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে।
গত কয়েক বছর ধরে চীন মূলত সেসব দেশেই তাদের মিশন চালু করছে, যেসব দেশ তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতি টানছে। এ কয়েক বছরে বেইজিং বুরকিনা ফাসো, ডমিনিকার রিপাবলিক, এল সালভাদর, গাম্বিয়া, সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপেতে কার্যালয় খুলেছে।
কূটনৈতিক মিশনের সংখ্যার তালিকা দিক দিয়ে তাইওয়ানের অবস্থান ৩২ নম্বরে। ১৫টি দেশে দূতাবাস থাকলেও সারাবিশ্বে তাইপের মিশন সংখ্যা ১০৭। ২০১৬ সালের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কার্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। ২৭১ থেকে এ বছর সেটি ২৭৩ এসে দাঁড়িয়েছে।
উল্টোদিকে যুক্তরাজ্য তাদের মিশনের ব্যাপ্তি ও সংখ্যা কমিয়েই যাচ্ছে। ২০১৬ সালেও দেশটির দূতাবাস ও কনসুলেটসহ মিশনের সংখ্যা ২১৬টি ছিল, ৩ বছর পর তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০৯-এ। সংখ্যার দিক লন্ডনের এ অবস্থান ইতালি, স্পেন ও ব্রাজিলেরও নিচে।