ছেলে করোনা আ’ক্রান্ত জেনেও ৩ বছরের সন্তানকে কোলে নিলেন মা !!

আগে শিশুটির বাবার করোনা পজেটিভ আসে। ১২ এপ্রিল শিশু ও তার মায়ের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে মায়ের করোনা নেগেটিভ এলেও শিশুটির পজেটিভ আসে। বর্তমানে তারা সবাই রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।এর আগে আ’ক্রান্ত বাবাকে শনিবার রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার স্ত্রী ও তিন বছরের শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। পরে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, তিন বছরের শিশুর করোনা পজেটিভ। তার মায়ের করোনা নেগেটিভ।

বর্তমানে তারা সবাই রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তবে আ’ক্রান্ত শিশুটিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসকরা। করোনা আ’ক্রান্তদের পৃথক ওয়ার্ডে রাখার কথা বলা হলেও শিশুটিকে রাখা যাচ্ছে না। ফলে শিশুটির পাশে তার মা রয়েছেন। এতে করোনার ঝুঁকি রয়েছে শিশুটির মায়ের।জানতে চাইলে শিশুটির মা বলেন, জন্মের পর থেকে বাবুর ঠান্ডাজনিত অনেক সমস্যা। দুই মাস আগে বাবুরে নিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। একটু ঠান্ডা লাগলেই নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যায়। এর মধ্যে ডাক্তার বললেন বাবুর করোনা।

তিনি বলেন, বাবুর বাবা করোনায় আ’ক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে আনা হয়। আমাদের একসঙ্গে নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি রুমে থাকছি আমরা। বাইর থেকে আমাদের রুমের দরজা লাগানো। বদ্ধঘরে সারাক্ষণ কাঁদে বাবু। কোনোভাবেই কান্না থামে না তার। করোনা জেনেও মাঝে মধ্যে কোলে নিই। তবুও কান্না থামে না। পাশের রুমে তার বাবা। সেখানেও নেয়া যাচ্ছে না। এভাবে পাঁচদিন ধরে বাবুরে নিয়ে বসে আছি। ফেলেও যেতে পারছি না, ও তো আমার বুকের ধন। কোথায় ফেলব।

কীভাবে করোনায় আ’ক্রান্ত হলেন শিশুটির বাবা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিশুর বাবা ঢাকার কদমতলীর ফলের দোকানের কর্মচারী। ঢাকা থেকে করোনায় আ’ক্রান্ত হন। সেখান থেকে রাজৈরে নিজ গ্রামে আসেন। এলাকার লোকজনের বাধার কারণে অন্যের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে একদিন গোপনে বাড়ি আসে। কারণ ঢাকায় থাকা অবস্থায় তার সম্পর্কে এলাকায় খবর আসে করোনায় আ’ক্রান্ত। পরে পরীক্ষা করালে তার করোনা ধরা পড়ে। এরই মধ্যে শিশুটির শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। ৯ এপ্রিল হাসপাতালে পরীক্ষা করতে নিয়ে আসি। পরীক্ষায় ধরা পড়ে শিশুরও করোনা। ১১ এপ্রিল হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে আসা হয় আমাদের।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *