ছয় ভ’য়ঙ্কর প্রভাব রেখে যাবে করোনা, জেনে নিন আর সতর্ক থাকুন !!

করোনা ভা’ইরাস শিগগির বিশ্ব থেকে চলে যাবে। কিন্তু বৈশ্বিক শৃঙ্খলা ফিরে পেতে সময় লাগবে কয়েক বছর। করোনা ভূমিকম্পের মতো আফটার শক দিয়ে বিশ্বকে স্থায়ীভাবে পুনর্নির্মাণ করবে। এ ক্ষেত্রে ছয়টি বড় নজিরবিহীন পরিবর্তন দেখবে পুরো বিশ্ব। বাসযোগ্য এ গ্রহে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে #৩৯; বিশৃঙ্খলা তত্ত্ব#৩৯; দিয়ে সেটা বুঝিয়েছেন দুই ইন্ডিয়ান-আমেরিকান বিশেষজ্ঞ পারাং খান্না ও কারান খেমকা। তারা বলেছেন, বিশ্বের সরকার, অর্থনীতি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে কয়েক বছর লেগে যাবে। পরবর্তী তিন থেকে চার বছর আমাদের মনে হবে কোভিড-১৯ ছিল ভ’য়ংকর ঝড়ের আগে বিদ্যুৎ চমকানি। বিশ্বে সম্ভাব্য ছয়টি পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

দীর্ঘকালীন জরুরি অবস্থা: করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে ১২-১৮ মাস লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। উন্নত দেশগুলো কড়াকড়িভাবে কোয়ারেন্টিন পালন করলেও গবির ও জনবহুল দেশগুলোর জন্য তা হবে ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে করোনায় মৃত্যু এক লাখ ছাড়ালেও সেটি ১০ লাখ বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। এমন অবস্থায় নানা ধরনের স্বল্পমেয়াদি জরুরি অবস্থা তখন আমাদের জীবনে হয়ে যাবে ডাল-ভাতের মতো।

পেট্রো-রাজ্যগুলো ধসে পড়বে: ইকুয়েডর থেকে ইরান পর্যন্ত পেট্রো-রাজ্যগুলোয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার পতন কোনো অবাস্তব দৃশ্য নয়। তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় ভেনিজুয়েলায় মুদ্রাস্ফীতি এবং অনাহার আরও বেড়ে যাবে। তেলের দাম হ্রাস ও হজ বাতিলের ফলে সৌদির অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। ভা’ইরাসের সংক্রমণ এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় নাজেহাল ইরানে সরকার পতনের আশঙ্কা জোরালো হয়েছে।

অভিবাসী সংকট: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়ায় ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলো থেকে নিশ্চিত জীবনের আশায় লোকেরা ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশে পাড়ি জমাতে মরিয়া চেষ্টা করবে। আন্তর্জাতিক বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে তারা শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করবে। এরই মধ্যে তুরস্ক ৪ কোটি সিরিয়ান শরণার্থীর চাপ সহ্য করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। প্রয়োজনে তারা ইউরোপীয় সীমান্ত খুলে দেবে।

জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটবে: বহু দেশ অভিবাসীর ঢল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটবে। খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ, শস্য রফতানি ইত্যাদি কারণে জাতীয়তাবাদ মাথাচাড়া দেবে। অভিবাসীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে স্থানীয়রা। ইউরোপের অসংখ্য দেশে রক্তক্ষয়ী সংঘাতও উড়িয়ে দেয়া যায় না।

প্রযুক্তি ব্যয় হ্রাস পাবে: করোনাভা’ইরাস ম’হামারীর প্রভাব কমাতে আজ বড় কোনো বিনিয়োগের কথা চিন্তা করতে পারি না। বর্তমানে জৈব প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে বৃহত্তম বিনিয়োগ শুরুর সুস্পষ্ট জায়গা। তবে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে প্রযুক্তিগত দিকে বড় বিনিয়োগ কমে যাবে।

সভ্যতার সংকট সৃষ্টি হবে: করোনা মানবসভ্যতার জন্য ৯/১১-র চেয়েও বড় পরীক্ষা এবং আর্থিক সংকট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এটি একটি বিস্ময়কর ধাক্কা যা বিশ্বব্যবস্থাকে ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে। সরকারি-বেসরকারি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই থমকে যাবে। অর্থনৈতিক ও খাদ্য সংকটের কারণে যুদ্ধ-বিগ্রহ বেড়ে যাবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *