জানুন, দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দো’আ কোনটি !!

কিয়ামতের পূবে দুনিয়াতে দাজ্জালের আবির্ভাব এক বিরাট ফিতনা। আল্লাহ তাআলা তাকে অনেক বড় বড় আশ্চর্য রকমের ঘটনা ঘটানোর শক্তি ও সামর্থ্য দান করবেন। যার ফলে সাধারণ মানুষের চিন্তা-শক্তিতে বিশাল এক ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে। এবং মানুষ কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়বে।

দাজ্জালে পৃথিবীতে ৪০দিন অবস্থান করবে। দাজ্জালের প্রথম দিন হবে এক বছরের সমান। দ্বিতীয় দিন হবে এক মাসের সমান। তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। আর বাকি দিনগুলো হবে দুনিয়ার সাধারণ দিনের মতো। এ সবই দাজ্জালের ভ’য়াবহ ফিতনা।

আরো জানুন…

রাতের যে দোয়া আল্লাহ তায়ালা ফেরত দেন না !!

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে পাকে এরশাদ করেন, ‘তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে, এবং লাঞ্চিত হবে। সূরা আল-মু’মিন, আয়াত ৬০
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এরশাদ করেন, ‘দোয়া ইবাদতের সারাংশ।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) রাতকে ইবাদতের মুখ্য সময় মনে করতেন। রাতের প্রথম ভাগে নিদ্রা যেতেন। অবশিষ্ট রাত ইবাদতে অতিবাহিত করতেন।আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জনৈক সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! কোন দোয়া অধিক শ্রবণ করা হয়? প্রত্যুত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, শেষ রাতের দোয়া এবং ফরজ নামাজের পরের দোয়া। (তিরমিজি)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমাদের কল্যাণময় সুউচ্চ মর্যাদাবান প্রভু প্রত্যেক রজনীতে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হন, যখন রজনীর শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তিনি বলতে থাকেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে তা দান করব এবং কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারি ও মুসলিম)রাতের ইবাদত ও দোয়া আল্লাহর কাছে অনেক মর্যাদা ও সম্মানের। রাতের দোয়া ও ইবাদতে তাওহিদের সাক্ষ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সে দোয়া আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। বান্দার সব দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, ‘যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়।’ (বুখারি, মিশকাত)

দোয়াটি হলো- لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ – سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ للهِ، وَلَا إلَهَ إلّا اللهُ، وَاللهُ أكْبَر – وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহা পবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’।অতপর বলবে- ‘রাব্বিগফিরলি’ অর্থাৎ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।

 

 

 

 

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *