জিম্বাবুয়েকে স্রেফ ‘ফুঁ’ দিয়ে উড়িয়ে বাংলাদেশের বিশাল ব্যবধানে জয় !!
জিম্বাবুয়েকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল টাইগাররা। বাংলাদেশের দেয়া ৩২২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৫২ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র এক রান যোগ করতেই এক উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দলীয় ২৩ রানে আবার জোড়া ধাক্কা খায় দলটি। এই ধাক্কার রেশ আর কাটিয়ে উঠতে পারে নি রোডেশিয়ানরা। ম্যাচের আগাগোড়া সবসময়ই চালকের আসনে ছিল বাংলাদেশ, কখনোই মনে হয় জিম্বাবুয়ে এই ম্যাচ জিততে পারে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন মাধেভিরে।
এর আগে, ছন্দে থাকলে লিটন দাস কতটা ভয়ংকর হয়ে ওঠেন তা আজ হাড়ে হাড়ে টের পেল জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের বোলারদের নাকের জল চোখের জল এক করে লিটন তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। লিটনের আত্নবিশ্বাসী ব্যাটং দেখে মনে হচ্ছিল আজ বোধহয় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেই ফেলবেন! দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্র্যাম্পের শিকার হয়ে ১২৬ করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন তিনি। শেষদিকে মিথুনের দ্রুতগতির ফিফটিতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩২১ রানের পাহাড়, হারিয়েছে ৬ উইকেট।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতিতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এর দায় ওপেনার তামিম ইকবালের। ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি হোক বা ওয়ানডে, তামিম বোধহয় ভুলেই গেছেন ক্রিকেটে স্ট্রাইকরেট বলে একটা জিনিস আছে। আজও তিনি ৪৩ বলে ২৪ রান করেছেন মাত্র ৫৫ স্ট্রাইকরেটে। এই স্ট্রাইকরেট শুধু টেস্টের জন্যেই মানানসই, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এ আর চলে না। এছাড়াও তামিম নিশ্চিত আউট জেনেও রিভিউ নিয়ে তা নষ্ট করেছেন। ফলশ্রুতিতে পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ভুল সিদ্ধান্তে আউটের শিকার হলেও আর রিভিউ নিতে পারেন নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সাথে একসময়ের ড্যাশিং ওপেনার তামিম আর মানিয়ে নিতে পারছেন না।