জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২ ইহুদি শিশুকে রক্ষা করলেন মুসলিম নারী !!

শিশু শিশুই। ধর্মের গণ্ডিতে শিশুদের মাপা যায় না। ফুটফুটে শিশু দেখলেই যে কারও কোলে নিতে কিংবা আদর করতে ইচ্ছা করে। শিশুদের প্রতি নারীদের মায়া-মমতা তো আরও বেশি। সে দরদ থেকেই এক খ্রিষ্টান ব্যক্তির নির্যাতন থেকে দুই ইহুদি শিশুকে বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এলেন এক মুসলিম নারী।

ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনের একটি কমিউটর ট্রেনে। এক খ্রিষ্টান ব্যক্তি দুই ইহুদি শিশুকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছিল। কেউ এগিয়ে আসার সাহস পাচ্ছিল না। ট্রেনের বগিতে থাকা লোকজন দুই শিশুকে মানসিক নির্যাতনের আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান। বিবিসি, এশিয়ান ইমেজসহ অনেক অনলাইন পোর্টাল এ নিউজটি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছে।

কেউ যখন তাদের সাহায্যে এগিয়ে যাচ্ছিল না ঠিক তখনই আসমা শুয়েইখ নামের মুসলিম এক নারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের সাহায্যে এগিয়ে যান এবং তাদের খ্রিষ্টান নির্যাতনকারীর হাত থেকে মুক্ত করেন।

এ পুরো ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করেন ক্রিস এটকিন্স নামের অন্য এক যাত্রী। এ ভিডিও ফুটেজ দেখেই লন্ডন পুলিশ ওই খ্রিষ্টান নিপীড়নকারীকে গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশ অপরাধীর পরিচয় গোপন রেখেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, কমিউটর ট্রেনের বগিতে স্কালক্যাপ পরিহিত এক খ্রিষ্টান ব্যক্তি দুই ইহুদি শিশুকে বাইবেল থেকে অনুচ্ছেদ পাঠ করে শোনাচ্ছিল আর তাদের সঙ্গে অত্যন্ত উগ্র আচরণ করছিল। এতে উভয় শিশু ভয়ে কান্না শুরু করে দেয়। কিছুতেই সে শান্ত হচ্ছিল না। অব্যাহতভাবে সে এ নির্যাতন করে যাচ্ছিল।

ট্রেনের এক মুসলিম নারী আরোহী সাহস করে সামনে এগিয়ে যান। পরে ওই হিজাব পরিহিত নারীর নাম আসমা শুয়েইখ বলে জানা যায়। এ ঘটনার ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয় মুসলিম নারী আসমা শুয়েইখ।

আসমা শুয়েইখ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ট্রেনের অন্যরা যদি এগিয়ে আসত তবে এতটা ঝুঁকি নিয়ে আমাকে প্রতিবাদ করতে হতো না। মা হিসেবে আমি উপলব্ধি করছিলাম যে, ওই দুই শিশু কী পরিমাণ মানসিক নির্যাতন ভোগ করছিল। তখনই সিদ্ধান্ত নেই যে, শিশুদের নির্যাতন থেকে মুক্ত করতে একটা পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যদি ওই বাইবেল পরিহিত খ্রিষ্টান ব্যক্তিকে এখনই না থামানো হয় তবে শিশু নির্যাতন ও পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবে।’

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *