জুমার দিনের দরূদ পাঠ করলে সরাসরি মহানবীর কাছে পেশ করা হয়!

আজ পবিত্র শুক্রবার। পবিত্র শুক্রবার সপ্তাহের সেরা দিন। শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়।

পবিত্র কুরআনে সূরা জুমুয়া নামে একটি সূরা রয়েছে যা এই দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত তুলে ধরে। এছাড়া শুক্রবার একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে যখন বান্দার দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।

হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হাদিসে জুমার গুরুত্ব ও ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় দিন যেদিন সূর্য উঠেছে তা হল জুমু’আর দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনে তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছিল এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল ‘(সহীহ মুসলিম)।

জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা) আরো বলেন, “জুমু’আ হল মুমিনের সাপ্তাহিক ঈদের দিন” (ইবনে মাজাহ)। হাদিসে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর দৃষ্টিতে শুক্রবার হল ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার মতো শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনটি আল্লাহর কাছে অত্যন্ত সম্মানজনক ‘(ইবনে মাজাহ)

পবিত্র জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস আরও উল্লেখ করে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কোনো মুসলমানের মৃত্যু হয় সেদিন জুম’আ বা জুমু’আর রাতে। নিশ্চয় আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করেন ‘(মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, বায়হাকী, মিশকাত)

মুসলিম উম্মাহ হিসেবে আমরা খুবই ভাগ্যবান, কারণ আল্লাহ আমাদের সপ্তাহে একটি বিশেষ দিন দিয়েছেন, যাতে আমরা বিশেষ করে এই দিনে তাঁর ইবাদত করতে পারি। এছাড়া এই দিনে আমাদের বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করা উচিত।

তাই আসুন শুক্রবারের প্রতিটি সময় বিশেষ পূজায় কাটানোর চেষ্টা করি এবং বেশি বেশি দরূদ পড়ি। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন, আমিন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *