Jana Ojana

জেনে নিন, করোনায় আ’ক্রান্ত হলে ভালো ঘুমের জন্য যা করবেন !!

করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্তদের জন্য সেরে ওঠাটাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। এই মহামারীতে আ’ক্রান্ত হলে খাওয়া কিংবা ঘুম- কোনোকিছুতেই অনিয়মিত হওয়া চলবে না। ঘুম ঠিকভাবে না হলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে তুলবে। তাই করোনাভা’ইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হতে চাইলে প্রশান্তিদায়ক ঘুম জরুরি।

সময়সূচী এবং রুটিন নির্দিষ্ট করুন

রুটিনমাফিক চললে তা অসুস্থতার সময়েও আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। আপনার মন এবং শরীরের পক্ষে নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী মেনে চলা সহজ, এজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখার পরামর্শ দেন।

ওঠার সময়

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ওঠার অভ্যাস করুন। হাতে সময় আছে বা অসুস্থতার জন্য অতিরিক্ত সময় ঘুমাবেন না। কারণ এর পুরো প্রভাব তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়ার উপরে পড়বে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে এলার্ম দিয়ে রাখুন।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে

ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি নেয়া জরুরি। যেমন- দাঁত ব্রাশ করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরা, হালকা ব্যায়াম করা ইত্যাদি। মহামারীর দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার জন্য প্রতি রাতে ঘুমের আগে এই হালকা ধরনের কাজগুলো করতে পারেন।

শোবার সময়

শোবার সময় নির্দিষ্ট করুন। সারাক্ষণ বাড়িতে বা একটি নির্দিষ্ট কক্ষে থাকার কারণে আপনার কিছু রুটিনে হেরফের হতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে ঘুমের ক্ষেত্রেও। তাই নির্দিষ্ট সময়ে রুমের বাতি বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

বিছানা

ঘুমের সঙ্গে বিছানার সম্পর্ক নিবিড়। অগোছালো কিংবা অপরিষ্কার বিছানায় ঘুম নির্বিঘ্ন হবে না। বিছানার প্রতি আকর্ষণ ধরে রাখতে বিছানায় বসে অন্য কোনো কাজ করবেন না। অনেকেই বিছানায় বসে খাবার খান, যা ঠিক নয়। বিছানা শুধু ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট করুন। বিছানা-বালিশ নিয়মিত পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।

আলো

আলো আমাদের স্বাস্থ্যকর ঘুমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কৃত্রিম আলো থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন এবং সম্ভব হলে প্রাকৃতিক আলোতে কিছুটা সময় ব্যয় করুন। সকালের বাতাস বেশ সতেজ থাকে। তাই চেষ্টা করুন সকালের বাতাস গ্রহণ করতে। দিনের বেলা ঘরে আলো ও বাতাসের প্রবেশের জন্য জানালাগুলো খুলে রাখুন। মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট এবং কম্পিউটারের মতো ডিভাইসের নীল আলো আমাদের ঘুমের ব্যাঘ্যাত ঘটাতে পারে। যথাসম্ভব, বিছানা যাওয়ার আগে এক ঘণ্টা সব রকম ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

ভাতঘুম এড়িয়ে চলুন

দুপুরে খাওয়ার পরে বিছানায় গড়াগড়ি কিংবা ভাতঘুমের অভ্যাস অনেকের রয়েছে। এটি পাওয়ার ন্যাপ হিসেবে পরিচিত। এটি মাঝেমাঝে করা গেলেও প্রতিদিন করা উচিত নয়। একারণে আপনার নিয়মিত ঘুমের রুটিনে ব্যাঘ্যাত ঘটতে পারে।

অ্যাক্টিভ থাকুন

বিশ্বে যা কিছু ঘটছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন। মনে জোর রেখে স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করুন। ইন্টারনেট থেকে নানারকম শারীরিক কসরত শিখে নিতে পারেন যা আপনাকে ভালো ঘুমের জন্য সাহায্য করবে। যতই ক্লান্ত লাগুক, নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। অ্যাক্টিভ থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে দ্রুত।

মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করুন

উদারতা এবং ক্ষমার অভ্যাস করুন। যত বেশি নেতিবাচক চিন্তা করবেন, ততই তার প্রভাব পড়বে আপনার শরীরে। চারদিক থেকে খারাপ খবর এলেও ভেঙে পড়বেন না, বেছে বেছে ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। আপনার অসুস্থতায় কে অযত্ন করলো তা না ভেবে বরং কারা যত্ন করছেন, খেয়াল রাখছেন তাই নিয়ে ভাবুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও কিন্তু সামাজিকতা বজায় রাখা সম্ভব। কাছের মানুষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। এসব ভালো অভ্যাস আপনাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button