জেনে নিন, মুসিবতের সময়ে যে দোয়া পড়তে হয় !!
বিপদ, বালা-মুসিবত দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করা হয়। বিপদে হতাশ হতে নেই। হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, “সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত হন নবীগণ। তারপরে তিনি বলেছেন, যার যত ঈমান বেশি, তার তত বিপদ বেশি।ঈমান যত বেশি হবে বিপদ তত বেশি হবে। যত ঈমান কম হবে বিপদ তত কম হবে। এ থেকে মুক্তি একমাত্র পথ গভীর রাতে নফল নামাজ পড়া। আল্লাহ তায়ালাকে বেশি বেশি স্মরণ করা এবং মুসিবতের বিষয়টি পেশ করা।
বিশেষভাবে لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ পড়তে হবে। অর্থ : আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া : ৮৭হজরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) দুঃখ-কষ্টের সময় বলতেন : লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন। -জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫০০
হযরত আনাস (রা.) বলেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ’ দোয়াটি পড়তেন।’ (তিরমিজি মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২৪৫৪)। অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরে ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
রাসুল (সা.) বলেছেন, বিপদ মুসিবত যত বড়, এর প্রতিদানও তত বড়, আর আল্লাহ পাক যখন কাউকে ভালোবাসেন তখন তাকে পরীক্ষা করেন। এ পরীক্ষায় যে খুশি থাকে তার জন্য আল্লাহ পাকও খুশি হয়ে যান, আর যে রাগান্বিত হয়, তার জন্য তিনিও রেগে যান। (তিরমিযী)এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিপদ, মুসিবত যা কিছুই হোক না কেন, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা স্বরূপ। এ পরীক্ষায় টিকতে পারলে পরিণতি শুভ হয়, আর হেরে গেলে পরিণতি মন্দ হয়।