জেনে নিন, যে কারণে রসুন খাবেন !!

রান্নায় ব্যবহার, আচার বানানো ছাড়াও রসুনে অনেক রকমের ওষধী গুণ রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুনের ব্যবহার চলে এসেছে। রসুনে অ্যালিসিনা নামের এক কম্পাউন্ড পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে।

প্রাচীন ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, একসময় রসুন কিন্তু শুধু মাত্র বিভিন্ন অসুখ সারানোর জন্যই ব্যবহার হতো। এছাড়া মিশরীয়‚ ব্যাবিলনীয়‚ গ্রিক‚ রোমান এবং চৈনিক সভ্যতায় ওষুধ হিসেবে রসুনের ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। জেনে নেওয়া যাক রসুনের যত গুণ…

শরীরে ওজন বাড়লে মনেও মেদ জমতে শুরু করে। আর এক বার ওজন বেড়ে গেলে, তা কমানো মোটেই সহজ নয়। বহু সুস্বাদু খাবারকে বিদায় জানিয়ে তখন কঠিন ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে রসুন।

রসুনের পুষ্টিগুণ

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি সিক্স, ভোজ্য আঁশ, ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালরির পরিমাণ ৩০৬, চর্বি থাকে ১৩.৮, সোডিয়াম থাকে ৬১৭ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট আছে ১৪ গ্রাম, প্রোটিন থাকে ৩৫.২ গ্রাম আর লৌহ থাকে ২২ শতাংশ।

ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা

ওজন কমতে রসুন কতটুকু কাজে আসবে তা নির্ভর করবে তা কীভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে সেই পদ্ধতির উপর। কারণ রসুন কীভাবে রান্না করা হচ্ছে কিংবা প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এর স্বাস্থ্যগুনে পরিবর্তন আসে।

কর্মশক্তি বাড়ায় রসুন, সাহায্য করে ক্যালরি পোড়াতে এবং শরীরের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে। খাওয়া রুচিকে দমিয়ে রাখতে পারে এই মসলা। পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে এবং প্রয়োজনের বেশি খেয়ে ফেলা থেকে বিরত রাখে।চর্বি খরচের প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে। শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে এবং হজমতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও ভূমিকা রয়েছে রসুনের।

খাওয়ার সঠিক উপায়

‘অ্যালিনেজ’ নামক এনজাইম থাকে রসুনে, যা ‘অ্যালিন’কে ‘অ্যালিসিন’য়ে পরিণত করে। ‘অ্যালিসিন’য়ের বিশেষ গুণাগুণ নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতেই কাজ করে এবং উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসলে তা নষ্ট হতে যেতে পারে।রসুন ৪৫ মিনিট ওভেনে গরম করলেই তার ‘অ্যালিনেজ’ নষ্ট হয়ে যায় এবং রসুনের স্বাস্থ্যগুণ কমে যায়। আবার যে কোনো রান্নায় রসুন যোগ করার আগে তা থেতলে ১০ মিনিট রেখে দিলে রসুনের স্বাস্থ্যগুণ সংরক্ষিত থাকে।

রসুনের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যগুণ উপভোগ করতে চাইলে সকালে খালি পেটে তা খেতে হবে। দুই থেকে তিনটি রসুনের কোয়া থেতলে ১০ মিনিট রেখে তা পানি দিয়ে গিলে খেতে পারেন।লেবুর শরবতের সঙ্গেও রসুন খাওয়া যেতে পারে। এক গ্লাস পানিতে লেবুর রস আর একটি থ্যাঁতলানো রসুনের কোঁয়া মিশিয়ে নিলেই হল।

এই দুটোর মিশ্রণ ওজন কমাতে সহায়ক বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।আরেকটি উপায় হল মধু ও কাঁচা রসুন একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া। দুই তিন কোঁয়া রসুন খোসা ছাড়িয়ে থেতলে নিতে হবে এবং তার সঙ্গে মেশাতে হবে খাঁটি মধু। মিশ্রণটি কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে খালি পেটে খেতে হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *