জেনে নিন, যে দুই রোগে করোনার ঝুঁকি মা’রাত্মক !!

চীনের উহান শহরে থেকে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে রহস্যময় করোনা ভা’ইরাস। উদ্বেগ ও শঙ্কা সৃষ্টি করেছে এ ভা’ইরাসটি। এখনো কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় এই ভা’ইরাস বিশ্ববাসীকে ঘরবন্দী করে ফেলেছে। এই ভা’ইরাস ঠেকাতে অনেক দেশে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের করোনার মৃত্যুঝুঁকি বেশি।

এ ছাড়া যাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিষ্ট অরিন্দম কর বলেন, অত্যন্ত ছোঁয়াচে বলে এই রোগে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য কোভিড-১৯ মারাত্মক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে রোগীর বয়স যদি ৬৫ বছরের বেশি হয় এবং তিনি যদি ধূমপায়ী হন, তা হলে সংক্রমণ মারাত্মক হয়ে জীবনঝুঁকি হতে পারে।

সম্প্রতি ‘ল্যানসেট’ নামক এক মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানা গেছে, ৬৯ উত্তীর্ণ পুরুষ যারা ধূমপায়ী এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাদের নভেল করোনাভা’ইরাসের সংক্রমণে ও মৃত্যুহার সব থেকে বেশি। আরও জানা গেছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণে মৃতদের শরীরে ভা’ইরাস থেকে যায় আমৃত্যু। আর এ কারণেই চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বিশেষ সতর্কতা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

আসলে কোভিড -১৯ ভা’ইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে, যা হাঁচি, কাশি, লালা ও সর্দির সাহায্যে বাতাসবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। আ’ক্রান্তের ৬ ফিটের মধ্যে থাকলে সুস্থ মানুষের আ’ক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে আ’ক্রান্ত মানুষটির হাঁচি, কাশি, নাক ঝাড়া থেকে। তিনি নাকে মুখে হাত দিয়ে সুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে অন্যজনের শরীরে এই ভা’ইরাস দ্রুত বংশ বিস্তার করে।

করোনা যেভাবে আ’ক্রান্ত করে:

শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কোভিড-১৯ ভা’ইরাসটি ফুসফুস ও ক্ষুদ্রান্ত্রকেও অ্যাটাক করে লাইনিং নষ্ট করে দেয়। এরপর একে একে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায়।

করোনার এখনও কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে চাপা দিয়ে হাঁচি-কাশি, বাইরে থেকে ফিরে পোশাক বদলে হাত-মুখ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নেয়া জরুরি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *