ঠান্ডা মাথায় স্ত্রীকে খুন, সবার সামনে অঝোরে কাঁদলেন স্বামী!

স্বামী হায়দার আলী তার স্ত্রী রুপা আক্তারকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেন। স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি চুপ করে কেঁদেছিলেন। এমনকি তিনি চোখের জল দিয়ে স্ত্রীর দাফন সম্পন্ন করেছিলেন। এরপর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে, স্ত্রীর প্রেমিকা কাজল নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করে। কাজল গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত হায়দার আলী পুলিশ এবং মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

হায়দার আলীর বক্তব্য এবং পারিবারিক অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে “প্রেমিকের হাতে প্রেমিকাকে হত্যা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলস্বরূপ, ঘটনার ২৮ দিন পর (৮ সেপ্টেম্বর) বুধবার পুলিশ তদন্তে ভিন্ন চিত্র উঠে আসে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসেনের আদালত ১৬৪ ধারায় হায়দার আলীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।

হায়দার তার স্ত্রীর গলা কেটে খুনের বিবরণ দিয়েছেন। তবে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে হায়দার আলী কেন তার চার মাসের গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করেছে তা তদন্তকারী কর্মকর্তা বলতে পারেননি। মামলার বিবরণীতে বলা হয়, রূপা আক্তার ১ আগস্ট ধালিয়া মুসলিম পাড়ায় তার বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। ৭ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৮ টায় রুপা এই বলে বাসা থেকে বের হন যে তিনি বাঙ্গালহালিয়া এলাকায় তার খালার বাড়িতে যাচ্ছেন।

সন্ধ্যার পরও বাড়ি না ফেরায় রূপার বাবা রুপার খালার মোবাইল ফোনে ফোন করেন। আন্টি বললেন, রুপা তার বাসায় যায়নি। তিনি কোথায় গিয়েছিলেন তার খবর পাওয়া যায় না। পরে জানা যায়, রূপার লাশ বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের গলাচিপা মুসলিম পাড়ার ঝোপে পড়ে আছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে এবং মূল হত্যাকারী ছিল রূপার স্বামী। রূপার বড় ভাই উবায়দুল্লাহ বলেন, “হায়দার আলী আমার বোনকে হত্যা করছে, আমি তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। ফলে ঘটনার জন্য রুপা হত্যাকারী হায়দার আলীকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর জীবন দাবি করেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *