ডাকসু নেতাদের কর্মকাণ্ড আমার ভালো লাগে না: রাষ্ট্রপতি !!

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ডাকসু নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আমার কাছে এসেছে। এগুলো ডাকসু নেতাদের বলা উচিত ছিল। কিন্তু তারা (ডাকসু নেতারা) এর মধ্যে নেই। তাদের ব্যাপারে এমন সব কথা শুনি যা আমার ভালো লাগে না। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৫২তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আবদুল হামিদ বলেন, ডাকসু নেতাদের ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করা উচিৎ। এখন তাদের নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। এর বেশি কিছু বলে কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চাই না। ডাকসু নেতাদের এমন কিছু করা উচিত যাতে সাধারণ ছাত্রদের কল্যাণ হয়।

ডাকসু নির্বাচনের সময় ওঠা অসঙ্গতির প্রতি ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা সেটা করেছে সেজন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। তবে নির্বাচনের সময় কিছু কিছু কথা বা অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শুনেছি। আমি আশা করব ভবিষ্যতে যখন আবার ডাকসু নির্বাচন হবে তখন যাতে করে আরও সুন্দর আরও সুষ্ঠুভাবে এই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।’ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।

সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ ডিগ্রি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচনের দিনই নানা অনিয়ম, কারচুপি আর জালিয়াতির অভিযোগ এনে ছাত্রলীগ ছাড়া সব প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। এর পর থেকেই পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছিল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো। বিভিন্ন প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্যানেলগুলো নির্বাচনের পর একাধিকবার নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ঢাবি ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ১১ মার্চের ডাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। ভিপি নির্বাচিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর, জিএস নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং এজিএস নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।

সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *