ডা. ফেরদৌসকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার কারণ জানতে সরকারকে নোটিশ !!

করোনাভা’ইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের মানুষকে সেবা দেয়ার জন্যে আসা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার কারণ জানাতে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুন) সকালে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্টদের ই-মেইলে মানবাধিকারকর্মী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা এই নোটিশ পাঠান।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (জননিরাপত্তা বিভাগ) সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) সচিব ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে নোটিশের উপযুক্ত ব্যাখ্যা বা জবাব না পেলে যথাযথ আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাকায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে কেন পাঠানো হয়েছে, কীসের ভিত্তিতে একজন করোনাযোদ্ধাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, যেখানে একই সময়ে বিদেশ থেকে আশা যাত্রীদের এবং পরবর্তীতে চীন থেকে আশা ডাক্তারদের দেশের অভ্যন্তরীণ প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়?

নোটিশের বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিল হক ফয়সাল বলেন, ডা. ফেরদৌস গত ৭ জুন বাংলাদেশের করোনা আ’ক্রান্ত মানুষের সেবা দিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন করোনাভা’ইরাসে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। ট্যাক্সের জন্য সেগুলো আটকে রাখা হয়েছে। আইশৃঙ্খলা বাহিনী বাহিনী তাকে বাসায় যেতে না দিয়ে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। অথচ ওই দিন চীন থেকে আগত মেডিকেল টিমকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি। তাই এর কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ম্যানহাটনের প্রাচীনতম মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আশা ও ভরসার প্রতীক এবং করোনাভা’ইরাসের ভয়ে যেখানে বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা ডাক্তার তাদের চেম্বার বন্ধ করে অন্দরে ঢুকে গেছেন, সেখানে নিউ ইয়র্কের মৃত্যুপুরীতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা আ’ক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন ডা . ফেরদৌস।

তিনি দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশে করোনা আ’ক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে। তবে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, তাকে বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। দেশের এই ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ সরকার ডা. ফেরদৌসের মতো মানুষদের খুঁজছে এবং তিনি শুধুমাত্র প্লাজমা হিরো হিসেবে ন, একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন তিনি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *